কলকাতায় বাড়ছে টিবি-র প্রকোপ, লাগাম টানতে গুচ্ছ নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের

কলকাতায় বাড়ছে টিবি-র প্রকোপ, লাগাম টানতে গুচ্ছ নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের

0c2df3fdf9575d862e2098284d159ac3

 কলকাতা: করোনা আতঙ্ক থেকে খানিক স্বস্তি মিললেও স্বাস্থ্যজনিত উদ্বেগ বাড়ছে কলকাতায়৷ উদ্বেগের কারণ টিবি বা যক্ষ্মা৷ গত কয়েক বছর ধরে ক্রমেই টিবি বা যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে মহানগরে৷ পরিসংখ্যান বলছে, অন্যান্য জেলাগুলিতে টিবি আক্রান্তের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে শহর কলকাতা। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে স্বাস্থ্য ভবন। টিবি রুখতে কী কী করণীয় সে বিষয়ে একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে৷ এই নির্দেশিকা মেনে চললে টিবি বা যক্ষ্মার সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর।

২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় টিবি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২, ৮২৯ জন। মৃত্যু হয় ২৭২ জনের। কলকাতার পরে রয়েছে মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনা৷ এই দুই জেলাতেও টিবি আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। টিবি আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে কলকাতা পুরসভার কাছে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে কলকাতা ১০টি জোনে ভাগ করার কথা বলা হয়েছে৷ প্রতিটি জোনে বাড়তি নজরদারি চালাতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা সাধারণ মানুষকে টিবি সম্পর্কে সচেতন করবেন। কী কারণে টিভি হতে পারে, রোগ বাসা বাঁধলে কী করণীয়, যাবতীয় বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা হবে৷  স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, টিবি আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রথমে এই রোগ নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চান না। ফলে পরবর্তী সময়ে এটি আরও বাড়তে থাকে। তাই টিভি আক্রান্তের সংখ্যা খুঁজে বের করাটা খুবই প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ২০১৮ সালে কলকাতায় টিবি বা যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪,৮৪০ জন৷ সেখানে ২০২২ সালে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে৷ যা স্বাস্থ্য ভবনের উদ্বেগ বাড়িয়েছে৷ এই রোগের উৎসব খুঁজে বের করার জন্য কলকাতা পুরসভাকে আগেই সমীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই সমীক্ষা শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা।