বলা হয়, সাদা বাড়িতে যতদিন কালো রাজা ছিলেন, ততদিন যেন আমরিকার রাজনীতিতে সমতার প্রতিচ্ছবি স্পষ্ট হয়েছিল। কথা হচ্ছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার। সেই জমানা পেরোনোর পরই যেন বিতর্কের ঘনঘটা সাদা প্রাসাদ বা হোয়াইট হাউসে। এবার কথা হচ্ছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে। যিনি বিতর্কের মুকুট মাথায় নিয়েই হোয়াইট হাউসের সিংহাসনে বসেন। একাধিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ পেরিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ হোয়াইট হাউসে নথি চুরির। যে অভিযোগ বেশ গুরুতর। এক নজরে দেখে নেওয়া যার ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নথি চুরির মতো অভিযোগের দিকে—
• হোয়াইট হাইুস ছাড়ার পর দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ১০০ নথি চুরি করেছেন ট্রাম্প
• চুরি করা নথি ফ্লোরিডায় নিজের বাড়িতে নিয়ে যান ট্রাম্প
• ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট ৩৭ টি অভিযোগের মধ্যে ৩১ টি গুরুত্বপূর্ণ
• অভিযোগের মূল বিষয়- ইচ্ছাকৃত দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন নথি নিজের কাছে রেখে দেওয়া
• অভিযোগ, ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়িতে অন্তত ৬টি জায়গায় গোপন নথি লুকিয়ে রাখা আছে
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট ৪৯ পাতার চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। যেখানে নথি চুরিক বিভিন্ন অভিযোগের বিস্তারিত তথ্য পেশ করা হয়েছে। উঠে এসেছে ট্রাম্পের সহকারী ওয়াল্ট নওটার প্রসঙ্গও। যিনি নিজে ট্রাম্পকে নথি লুকিয়ে রাখতে সাহায্য করেছেন বলে অভিযোগ। এই মামলাটি যে তথ্যের ভিত্তিতে হয় সেই তথ্যও মারাত্মক। বিভিন্ন সূত্রের খবর, ২০২০ সালে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আমেরিকার মহাফেজখানা থেকে নিয়ে গেছেন ট্রাম্প। অভিযোগ সেগুলি ট্রাম্প ফেরত দেননি। গোটা বিষয় ঘিরে ফের বিপাকে ট্রাম্প। কারণ, দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নথি ফাঁস হলে তার রেশ পড়বে মার্কিন প্রশাসনের উপরই। এই মামলার শুনানি হতে পারে আগামী মঙ্গলবার। দোষ প্রমাণ হলে ২০ বছর পর্যন্ত শাস্তি হতে পারে ট্রাম্পের। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হয়ে নামতে চলেছেন ট্রাম্প। ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প স্পষ্ট লিখেছেন, তাঁর নাম খারাপ করতেই এই কাজ করছেন জো বাইডেন। এর আগেও পর্নতারকা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় ট্রাম্পের। এবার নথি চুরির অভিযোগ।