জম্মু: ধারা ৩৭০, বেকারত্ব এবং আমেরিকান নির্বাচনের প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের একবার কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপিকে আক্রমণ করলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন তিনি বলেন, আমেরিকায় কি হয়েছে তা সকলেই জেনে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মসনদ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদায় ঘটেছে, এবার ভারতে বিজেপিরও বিদায় ঘটবে। এমনটাই দাবি করেন মেহবুবা। একই সঙ্গে উপরিউক্ত ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি।
মেহবুবা মুফতি বলেন, আমেরিকার মানুষ নিজেদের ভুল সুধরে নিয়েছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদায় ঘটেছে। এবার ভারতেও বিজেপির পতন আসন্ন। খুব শীঘ্রই এ দেশ থেকে বিদায় নেবে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিহারের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করেন মেহবুবা। বলেন, বিহারের নির্বাচনে তেজস্বী যাদব ভালো ফল করবেন বলে তিনি আশাবাদী, এ ব্যাপারে তাঁকে শুভেচ্ছা বার্তাও জানান ভূ-স্বর্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মুফতির কথায়, বিহার নির্বাচন থেকেই বিজেপির পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যেতে পারে। আমেরিকার মতো ভারতের মানুষ নিজেদের ভুল শুধরে নেবেন বলে আশা করেন তিনি।
একইসঙ্গে ধারা ৩৭০ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন মেহবুবা। বলেছেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জম্মু-কাশ্মীরকে বিক্রি করে দিতে চাইছে। ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পরে এখন জম্মু-কাশ্মীরের জমি যে কেউ কিনতে পারেন বলেও আইন করা হয়েছে। এদিকে ভূস্বর্গের ছেলে-মেয়েদের চাকরি নেই। বন্দুক হাতে তুলে নেওয়া ছাড়া তাদের কাছে অন্য কোনও উপায় নেই বলেও দাবি করেন মেহবুবা! তাঁর বক্তব্য, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করতে পারে জম্মু-কাশ্মীর। কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে কাজ করছে না, বরং ভূ-স্বর্গের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে তুলছে।
মেহবুবা মুফতির মতোই বিজেপির পতন দেখতে পাচ্ছে শিবসেনাও। তাদের মুখপত্র সামনাতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, বিহার নির্বাচনে হারতে চলেছে বিজেপি, তারা সেই ভাবেই হারবে যেভাবে আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প হেরেছেন। সামনায় বলা হয়েছে, আমেরিকার মানুষ পরিবর্তন চেয়েছিলেন, তারা তাতে সফল হয়েছেন। এদিকে পরিবর্তন আসন্ন বিহারেও। নীতীশ কুমার তথা এনডিএ জোট রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে হারবে, তা খুবই স্পষ্ট। বিহারে যে সরকারের পরিবর্তন হবে সেই ইঙ্গিত অনেক আগে থেকেই মিলেছিল। এখন শুধুমাত্র তার বাস্তবায়নের অপেক্ষা। সামনায় আরো বলা হয়েছে, তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে বিহারের মানুষ নীতীশ কুমার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রত্যাখ্যান করবে। তারা তাদের সামনে আর মাথা নত করবে না।