ওয়াশিংটন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে জারি তরজা। চলতি মাসেই নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে ট্রাম্পকে। কিন্তু তাঁর প্রেসিডেন্ট পদের এই শেষ কটি দিন পর্যন্ত লেগে রইল বির্তক।
কিছুদিন আগেই ওয়াশিংটনে মার্কিন কংগ্রেসের ক্যাপিটল (Capitol) ভবনে হামলা চালিয়েছিল এক দল দুষ্কৃতী। নতুন বছরের শুরুতেই এই ধরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল হোয়াইট হাউস চত্বর তথা গোটা আমেরিকাতেই। জানা গিয়েছিল হামলাকারীরা সকলেই বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক। প্রিয় প্রেসিডেন্টের অপসারণ মেনে নিতে পারছেন না বলেই কংগ্রেস ভবনে হামলা চালান তাঁরা। মঙ্গলবার এই হামলার সমস্ত দায় অস্বীকার করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ক্যাপিটলে হামলা অস্বীকার করলেও ট্রাম্প এদিন দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছেন। তাঁর মতে মানুষের মধ্যে “সাংঘাতিক ক্ষোভ” জমা হচ্ছে। এদিন টেক্সাসে একটি কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে শান্তির বাতাবরণ বজায় রাখার আর্জিও জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
উল্লেখ্য, বুধবারই মার্কিন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে চলেছে। এই নিয়ে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় বারের জন্য ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাবেন। গত ৬ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি অসহিষ্ণু বার্তার জেরেই দ্বিতীয় বারের জন্য ইমপিচ করা হতে চলেছে তাঁকে। ৬ জানুয়ারি তিনি বলেছিলেন, নভেম্বরের ভোটের ‘আসল’ বিজেতা তিনিই। শুধু তাই নয়, নিজের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি কংগ্রেস ভবনে ঢুকে যাওয়ার আর্জিও জানিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
এদিন টেক্সাসের পথে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তাঁর সেদিনের সেই বক্তৃতা একেবারেই যথার্থ ছিল বলে মনে করেছেন সকলেই। শুধু তাই নয়, বুধবার তাঁর সম্ভাব্য ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়াকে তিনি রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় “অন্যায়” বলেও মন্তব্য করেছেন। দেশ জুড়ে তাঁর সমর্থকেরা যে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন, সে বিষয়ে তিনি সকলকে সতর্ক করে দেন। তাঁর কথায়, “এমন রাগ আমি আগে কখনো দেখিনি।” এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ৬ জানুয়ারি তাঁর বক্তব্যের কারণে ফেসবুক এবং ট্যুইটারে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারছেন না।