আগরতলা: তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ? প্রমাণ কী? প্রমাণ চেয়ে পোশাক খুলতে বাধ্য করল পুলিশ৷ এখানেই শেষ নয়, চার বৃহন্নলাকে থানায় এনে বেধরক মারধরও করা হল৷ এমনটাই অভিযোগ করেছে তাঁদেরই এক প্রতিনিধি৷ এই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল ত্রিপুরা৷ যদিও এই অভিযোগ মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ৷
আরও পড়ুন- সংক্রমণের হার ১৩ শতাংশ পার, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই লক্ষ ছুঁই ছুঁই
ঘটনাটি গত রবিবারের৷ মেলার মাঠ এলাকায় একটি অনুষ্ঠান সেরে রাতে ফিরছিলেন চার বৃহন্নলা। অভিযোগ, সেই সময় রাস্তায় টহলরত পুলিশকর্মীরা তাঁদের ঘিরে ধরে৷ নানা রকম প্রশ্ন করতে থাকেন তাঁরা। জবাবে ‘সন্তুষ্ট’ না হয়ে তাঁদের চেনে আনা হয় পশ্চিম ত্রিপুরা থানায়৷ সেখানে আনার পর থেকেই শুরু হয় হেনস্তা৷ কেন তাঁরা মহিলাদের পোশাক পরে রাস্তায় বেরিয়েছেন তা জানতে চাওয়া হয়৷ সেই সঙ্গে তাঁদের তৃতীয় লিঙ্গ হওয়ার প্রমাণ চেয়ে পোশাক খোলার কথা বলেন৷ অভিযোগ, তাঁরা রাজি না হলে তৃতীয় লিঙ্গের প্রমাণ পেতে পুলিশকর্মীরা জোর করে তাঁদের জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলেন। এমনকী পরেরদিন থানা থেকে ছাড়ার সময় পুলিশ তাঁদের দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেয় যে তাঁরা সকলেই পুরুষ এবং পুনরায় কোনও দিন মহিলাদের পোশাক পরবেন না। এরপরই তাঁদের মধ্যে একজন পশ্চিম ত্রিপুরা থানাতেই হেনস্তার অভিযোগ দায়ের করেন।
গোটা ঘটনা রাজ্যজুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ঘটনার পরের দিন ওই চার বৃহন্নলার মধ্যে একজন ওই থানাতে পুলিশের বিরুদ্ধেই হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করতেই খবরটি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে৷ অভিযোগ দায়ের হওয়ার প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর পুলিশের পালটা সাফাই, সবটাই মিথ্যে অভিযোগ৷ কিন্তু প্রশ্ন হল, অভিযোগ দায়ের হওয়ার ৭২ ঘণ্টা পর কেন আত্মপক্ষ সমর্থনে মুখ খুললেন আইনের রক্ষকরা? তৃতীয় লিঙ্গ বা বৃহন্নলাদের আচরণ বা পোশাক নিয়ে কেনই বা নাক গলাল পুলিশ৷ পুলিশের এই দাদাগিরি’র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে রাজ্যের মানুষ৷