নয়াদিল্লি: মোদী পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে সুরাতের জেলা আদালত৷ সেই শাস্তির ভিত্তিতেই সাংসদ পদ হারাতে হয়েছে সোনিয়া পুত্রকে৷ রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হতেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’-তেও এই বিষয়ে উল্লেখ করা হয়৷ রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের তিনদিন পর এই বিষয়ে আলোচনার জন্য বিরোধীদের বৈঠকে ডেকেছে কংগ্রেস৷ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই বৈঠকে যোগ দিল তৃণমূল৷
আরও পড়ুন- মোদীর সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সাংসদের সাক্ষাৎ, পঞ্চায়েতের আগে এই সাক্ষাৎ কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?
সংসদের বাজেট অধিবেশনে একলা চলো নীতি নিয়েই চলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ সম-মনস্ক বিরোধী দলগুলিকে কংগ্রেস যখন একজোট করার কাজ চালাচ্ছে, তখন নিজেদের সেখান থেকে দূরেই রেখেছে তৃণমূল। কংগ্রেসের ডাকা কোনও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা উপস্থিত হননি। আদানি ইস্যু থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়ে সংসদে গান্ধী মূর্তি পাদদেশে একলাই ধর্না দিয়েছে এ রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধিরা। রাহুল গান্ধীর সৌজন্যে সেই দূরত্ব এবার ঘুঁচল৷ ফের কাছাকাছি কংগ্রেস ও তৃণমূল৷ সোমবার সংসদ অধিবেশনের আগে বিরোধী দলগুলিকতে নিয়ে ডাকা কংগ্রেসের বৈঠকে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই সাংসদ জহর সরকার ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়৷
তৃণমূল সূত্রে খবর, রাহুল ইস্যুতে সোমবার তিনদফা কর্মসূচি পালন করা হবে৷ দিনের শুরুতেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বৈঠকে যোগ দেবেন তাঁরা। ওই বৈঠক শেষে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে কথা বলবেন লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ‘গণতন্ত্র রক্ষা’-র দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে সংসদ ভবন চত্বরে বিক্ষোভ দেখাবে কংগ্রেস। সেই আন্দোলনে অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে যোগ দেবে হবে তৃণমূলও।
ইতিমধ্যে তৃণমূল স্পষ্ট করেছে যে, তারা বাংলায় একাই লড়বে৷ সেই প্রেক্ষাপটে বড় হয়ে ওঠে জোট প্রশ্ন৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছে, রাহুল ইস্যুতে ফের কাছে আসছে দুই দল৷ জোড়া ফুল শিবিরকে কাছে পেতে পারে হাত শিবির। কয়েকদিন আগেই ছত্তিশগড়ের রায়পুরে হওয়া প্লেনারি সম্মেলনেও তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বার্তা দিয়েছিলেন বীরাপ্পা মইলি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>