ডেরেক-দোলা যা করেছে ঠিক করেছে, সাসপেন্ডেড সাংসদের সমর্থনে ফের ধর্নায় তৃণমূল

রাজ্যসভা অধিবেশনে রবিবার তৃণমূল বিধায়ক ডেরেক-ও-ব্রায়েন সহ ৮ জন সাংসদকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। পাশাপাশি বিরোধীদের মত গ্রহণ না করেই  ‘‌অগণতান্ত্রিক উপায়ে’‌ রাজ্যসভায় দুটি কৃষি বিল পাশ করায় কেন্দ্রীয় শাসকদল বিজেপি। এর বিরুদ্ধে আজ, সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবারের ঘটনাকে ‘‌ব্ল্যাক সানডে’‌ বলে অভিহিত করে মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার নিন্দা করেন।

 

কলকাতা: রাজ্যসভা অধিবেশনে রবিবার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন-সহ ৮ জন সাংসদকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করেছেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু৷ ৮ সাংসদকে সাসপেন্ড করার ঘোষণার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি বিরোধীদের মত গ্রহণ না করে ‘‌অগণতান্ত্রিক উপায়ে’‌ রাজ্যসভায় দুটি কৃষি বিল কেন্দ্র পাস করিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর৷ কৃষি বিলের প্রতিবাদে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ফের মাঠে নামার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ, সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা৷ রবিবারের ঘটনাকে ‘‌ব্ল্যাক সানডে’‌ বলে অভিহিত করে মুখ্যমন্ত্রী৷

ইতিমধ্যেই রাজ্যসভায় সাসপেন্ড হওয়া ডেরেক, দোলা সহ ৮ জন সাংসদ চত্বরেই বিক্ষোভে বসেছেন৷ তৃণমূলের ডেরেকের পাশাপাশি সাংসদ দোলা সেনকেও সাসপেন্ড করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান৷ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ডেরেক ও দোলা সহ বাকি ৮ জন সাংসদ সারা রাত সংসদ চত্বরে তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন৷ আগামীকাল সকালে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করবেন তাঁরা৷ এরপরেই সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,  ‌রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে নামবে তৃণমূল৷ পাশাপাশি তিনি আগামীকাল, মঙ্গলবার ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দেবেন বলে সাফ জানিয়ে দেন৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, এই ধর্নায় অংশ নেবেন তৃণমূলের মহিলা নেতাকর্মীরা৷ বুধবার এই প্রতিবাদে তৃণমূল যুব কংগ্রেসও অংশ নিতে চলেছে বলে জানান তিনি৷ পাশাপাশি তৃণমূলের কৃষক সংগঠন এরপর সেই প্রতিবাদে সামিল হবে বলে নবান্ন থেকে দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কাঁসর-ঘণ্টা বাজিয়ে আন্দোলনে নামারও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রাজ্যের প্রশাসনিক সরদ কার্যকর থেকে এহেন দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা, নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ 

নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে জানান, বাংলা গোটা ভারতবর্ষকে নিয়ে লড়াই জারি রেখেছে৷ বাংলাই দেশকে দিশা দেখাচ্ছে৷ আন্দোলনের সামনের সরণিতে থাকবেন সাধারণ মানুষ আর তাঁদের পিছনে কাঁসর, ঘণ্টা বাজিয়ে দল প্রতিবাদ জানাবেন৷ আজ, নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন মমতা৷ ‘এই বিজেপি সরকার, বিদায় নেওয়া দরকার!’ ‘বিজেপি সরকার ছিঃ ছিঃ!’ ইত্যাদি৷ রাজ্যসভার মতো সাংবিধানিক অংশে বিরোধীদের অধিকার খর্ব করে গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় বিজেপি দলকে ‘দেশের লজ্জা’ বলে অভিহিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − twelve =