নাবালিকার সঙ্গে রাত্রিবাস করে যৌনপল্লিতে বেচে দিল ছয় সন্তানের বাবা

মেয়ের খোঁজ না পেয়ে নাবালিকার বাড়ির লোক পুলিশের কাছে ছুটে যায়। পরিবারের থেকে পাওয়া তথ্য ধরে পুলিশ নাবালিকাকে খুঁজতে বের হয়। সূত্র মারফত খবর পেয়ে অভিযুক্ত সফিউল্লাকে ধরার ফাঁদ পাতে পুলিশ। অবশেষে পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়ে সে।

দিশপুর: শিলিগুড়ির এক নাবালিকাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে যৌনপল্লিতে বেচে দিল আসামের এক ব্যক্তি। জানা গেছে, ওই ব্যক্তি বিবাহিত এবং ছয় সন্তানের বাবা। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এবং নাবালিকাকে উদ্ধার করে বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করছে। 

আরও পড়ুন: শিক্ষা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা তপন রায়চৌধুরীর প্রয়াণে শোকার্ত শিক্ষক সমাজ

অসমের গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ সফিউল্লা। গোয়ালপাড়ার বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানের কথা গোপন করে ওই নাবালিকাকে প্রেমের ফাঁদে জড়িয়েছিল সফিউল্লা। এমনকী বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। অবুঝ নাবালিকা ঘর গড়ার স্বপ্ন দেখছিল। বুঝতে পারেনি তার সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। প্রথমে সফিউল্লা তাকে নিয়ে কোচবিহার চলে যায়, সেখানে রাত্রিবাস করে। পরের দিন সেখান থেকেই তাকে শিলিগুড়ি নিয়ে যায়। শিলিগুড়ির এক যৌনপল্লিতেই নাবালিকাকে এক মহিলার হাতে বেচে দেয় সফিউল্লা। 

আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা হয় না, মোদীর রাম-মন্তব্য খারিজ মমতার

মেয়ের খোঁজ না পেয়ে নাবালিকার বাড়ির লোক পুলিশের কাছে ছুটে যায়। পরিবারের থেকে পাওয়া তথ্য ধরে পুলিশ নাবালিকাকে খুঁজতে বের হয়। সূত্র মারফত খবর পেয়ে অভিযুক্ত সফিউল্লাকে ধরার ফাঁদ পাতে পুলিশ। অবশেষে পুলিশের ফাঁদে ধরা পড়ে সে। পুলিশ পরে নাবালিকাকেও উদ্ধার করে। জানা গেছে, যে মহিলার হাতে সফিউল্লা নাবালিকাকে তুলে দিয়েছিল পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করেছে। নাবালিকাকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তার বাড়ির লোক পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদেরও খোঁজ চলছে।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 + 9 =