কোনও ভিভিআইপি গাড়ির জন্যেই বন্ধ করা যাবে না রাস্তা, নির্দেশ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর

কোনও ভিভিআইপি গাড়ির জন্যেই বন্ধ করা যাবে না রাস্তা, নির্দেশ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা:  ভিভিআইপি-রা গেলেও বন্ধ করা যাবে না রাস্তা৷ এমনকি, উল্টো দিকের লেনেও আগে থেকে কোনও গাড়ি আটকানো যাবে না৷ ব্যতিক্রম নন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও৷ একই নিয়ম খাটবে তাঁর ক্ষেত্রেও৷ গত সপ্তাহে কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের কয়েক জন আধিকারিককে ডেকে সে  কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন লালবাজারের কর্তারা। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশিকাকে সামনে রেখে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছিলেন রাজ্যের নিরাপত্তা-অধিকর্তা পীযূষ পাণ্ডেও। এ বার শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশিকার কথা মনে করালেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্তারা।

আরও পড়ুন- শর্ট সার্কিট থেকে বাড়িতে ভয়ানক আগুন! দগ্ধ হয়ে বিরাটিতে মৃত ২

মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তাঁর গাড়ি যাবে বলে অন্যান্য গাড়ি আটকে দেওয়া হবে, তেমনটা তিনি একেবারেই চান না। কারণ, এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ে। কিন্তু অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তাঁর গাড়ি যাওয়ার আগে থেকেই রাস্তায় অন্যান্য গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিতেন পুলিশকর্তারা। এতে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি বিনা বাধায় বেরিয়ে গেলেও ব্যস্ত সময়ে ভোগান্তি পোহাতে হত সাধারণ মানুষকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিধানসভায় যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রী দেখেন, রাস্তা পুরো ফাঁকা। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁর গাড়ি যাবে বলে আগে থেকেই পুলিশ অন্যান্য গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। যা মোটেই পছন্দ হয়নি তাঁর৷ এই বিষয়ে পুলিশকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সূত্রের দাবি, এর পরেই নড়েচড়ে বসে লালবাজারের আধিকারিকরা এবং মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্তারা। তড়িঘড়ি শহরের ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়, রাস্তা দিয়ে কোনও ভিভিআইপি গাড়ি এমনকী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যাতায়াত করলেও, গাড়ি চলাচল বন্ধ করা যাবে না।