নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারীর প্রকোপ কাটিয়ে উঠতেই থমকে যাওয়া অর্থনীতি ফের সচল করতে উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্র সরকার। নানা জায়গা থেকে একাধিক চাকরির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হচ্ছে। এর মাঝেই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন নিয়েও বেশ উত্তপ্ত দিল্লির পরিস্থিতি। সেই আবহেই এবার শ্রমিকদের উদ্দেশ্যেও বার্তা দিল কেন্দ্র।
এদিন কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের তরফ থেকে সংসদীয় শ্রমিক সংগঠনের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়া হয়। বলা হয়, কেন্দ্রের তরফ থেকে যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকরা, তা তাদের কাজ অনুযায়ী নির্ধারিত হচ্ছে না। এ বিষয়ে নজর না দিলে সরকারের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে শ্রম মন্ত্রক।
ঠিক কী বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে? জানা গেছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অরগানাইজেশন বা EPFO কে মজবুত রাখার জন্য শুধুই কাজ অনুযায়ী সুযোগ সুবিধার পরিমাণ নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে “defined benefits”-এর বদলে এবার থেকে “defined contribution” প্রক্রিয়া প্রচলন করতে হবে, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক।
সূত্রের খবর, কেন্দ্র সংসদীয় ওই সংগঠনকে এদিন জানিয়েছে, বর্তমানে ২৩ লক্ষের উপর মানুষ EPFO-র অন্তর্ভুক্ত। তাঁরা প্রত্যেকেই পেনশন হিসেবে মাসিক ১০০০ টাকা করে পান। কিন্তু তাঁদের প্রত্যেকেরই রক্ষণাবেক্ষণ খাতে অবদান সমান নয়। এমনকি কারও কারও অবদান একেবারেই সামান্য। শুধু তাই নয়, যদি এই ব্যবস্থার দ্রুত পরিবর্তন করা না হয়, তাহলে সরকারের তরফে বেশি দিন তা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
বস্তুত ২০১৯ সালের আগস্টে ইপিএফও নামক এই পেনশনের আওতাও ন্যূনতম ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধির কথা বলেছিল কেন্দ্র। বলা হয়েছিল ন্যূনতম ভাতার পরিমাণ ২০০০ কিংবা ৩০০০ করার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এতদিন পরেও তা বাড়ানো হয় নি। গত বছরেই এই বিষয়ে শ্রমিক সংগঠন গুলির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রককে।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে এই মুহূর্তে ন্যূনতম পেনশনের পরিমাণ ২০০০ করা হলে কেন্দ্রের উপর ৪৫০০ কোটি টাকার চাপ পড়বে। ৩০০০ টাকা করা হলে চাপ পড়বে প্রায় ১৪৫৯৫ কোটি টাকার। এই বিপুল চাপ কমাতেই এবার শ্রম সংগঠন গুলিকে বার্তা দেওয়া হয়েছে।