কলকাতা: ভোট মিটলেও মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। ভোট সন্ত্রাসের বলি আরও এক৷ শনিবার গভীর রাতে কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হল বাসন্তীর এক তৃণমূল কর্মীর। ভোট চলার মাঝেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু গভীর রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম আজহার লস্কর (৬২)। বাসন্তীর রাধারানিপুরের বাসিন্দা। আজহার তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলেই পরিবার সূত্রে দাবি। শনিবার সন্ধ্যায় ২৪১ নম্বর বুথের সামনে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে আরএসপির৷ সেই সংঘর্ষে জড়িয়েই গুরুতর আহত হন আজহার।
বাসন্তীতে তৃণমূল-আরএসপি সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, আজহারের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শনিবার রাতেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে বদলি করা হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএমে। চিকিৎসা চলাকালীন শনিবার গভীর রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃতের পরিবারের দাবি, শনিবার ২৪১ নম্বর বুথে ভোটের পর ব্যালট বাক্স লুট করার চেষ্টা করছিল আরএসপির কর্মীরা। আজহার-সহ অন্য তৃণমূল কর্মীরা তাতে বাধা দিলে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে৷ জখন হন দু’দলেরই লোকজন৷
বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল ঘটনাপ্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ভোট চলাকালীন বামপন্থী দুষ্কৃতীরা অতর্কিতে আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ হানে। আমাদের অন্তত ১০ জন কর্মী রক্তাক্ত হয়। আজহার গুরুতর জখম হন। কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বামপন্থীরা হিংসাত্মক রাজনীতি করছে। তাদের দুষ্কৃতীরা এখানে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আজহারের খুনিদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।’’