বাংলার জেলায় জেলায় উগ্রপন্থী! জঙ্গি ঢুকিয়ে ভোট করানোর কৌশল: দিলীপ

দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করলেন, বাংলায় ঢুকিয়ে ভোট করানোর কৌশল করছে রাজ্য সরকার!

7b114517c1fd2fbcbc2d21dc094539be

 

কলকাতা: আর কয়েক মাস, তারপরই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় জনতা পার্টি। সেই প্রস্তুতিতে বহু আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে মৌখিক যুদ্ধ। এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করলেন, বাংলায় ঢুকিয়ে ভোট করানোর কৌশল করছে রাজ্য সরকার! তাঁর বক্তব্য, বাংলাদেশ, মায়ানমার থেকে জঙ্গি ঢুকিয়ে তাদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, সারা দেশের সন্ত্রাসবাদ শেষ হয়ে গেছে, কোথাও উগ্রপন্থী দেখা যায় না। কিন্তু এদিকে পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় বোমা এবং বন্দুকের কারখানা, জেলায় জেলায় উগ্রপন্থী। আর বাংলাদেশের সিমি, জামাত জঙ্গিদের রাজ্যে ঢুকিয়ে ভোট করানোর কৌশল করা হচ্ছে। সীমান্তে বেড়া দিতে দেওয়া হচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকারকে, এইসব জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার উদ্দেশ্যে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকার যে সমস্ত প্রকল্পের অর্থ রাজ্য সরকারকে দিচ্ছে, সেগুলি এদের পেছনে খরচ করা হচ্ছে। তাই রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের জন্য কিছুই থাকছে না। বাংলার গরিব মানুষকে গুজরাটে যেতে হচ্ছে চাকরি করতে। 

দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, পশ্চিমবাংলায় জেলায় জেলায় যে ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হচ্ছে, গোটা দেশের কোথাও হচ্ছে না। বাংলায় যেভাবে নারীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, সারা ভারতবর্ষে কোথাও হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গেই বাংলাকে স্বাধীন ভারতের আগের বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের কথা উল্লেখ করেন তিনি। দাবি করেন, এই রাজ্যে প্রতিবাদের নামে যেভাবে ভাঙচুর হয়েছে গোটা ভারতবর্ষে কথা হয়নি। এই রাজ্যের সাধারণ মানুষের সম্মান, অধিকার সব বিপন্ন। উল্লেখ্য, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিগত কিছুদিন ধরে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীরা একযোগে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের দাবি, বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা আদতে এই রাজ্যে বহিরাগত। তারা বাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য সম্পর্কে কিছুই জানেন না, বাংলার মানুষ সম্পর্কে কিছুই বোঝেন না। অভিযোগ করা হয়, বিজেপির নেতা এবং মন্ত্রীরা শুধুমাত্র বাংলায় উস্কানি দেওয়ার জন্য আসছেন, বাংলার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *