tmc
কলকাতা: রাজ্য-রাজভবন সংঘাতের মাঝেই বারবার মানুষের মাঝে হাজির হয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস৷ বরাবরই তৃণমূল স্তরে পৌঁছতে পছন্দ করেন তিনি৷ কখনও দত্তপুকুর, কখনও রিষড়া, কিংবা মোমিনপুর, ভাঙড়, কাকদ্বীপ বা কোচবিহার রাজ্যপাল পৌঁছে গিয়েছেন গ্রাউন্ড জিরোয়৷ এ বার সেই ‘গ্রাউন্ড জিরো’তেই রাজ্যপালকে ঘেরাও করার কৌশল নিল তৃণমূল। শাসকদলের দাবি, এবার থেকে রাজ্যপাল যেখানেই যাবেন, সেখানেই তাঁকে শুনতে হবে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার বকেয়া টাকা দেওয়ার দাবি।
রাজ্যের ‘সাংবিধানিক প্রধান’-নয়, বরং তৃণমূলের কাছে রাজ্যপাল অনেক বেশি বাংলায় নিযুক্ত ‘কেন্দ্রের প্রতিনিধি’৷ আর ঠিক সেই কারণেই দিল্লিতে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসাবে রাজ্যপালের হাতে ৫০ লক্ষ চিঠি তুলে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার তাঁর ডাকেই রাজভবন অভিযান করে তৃণমূল। কিন্তু রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হয়নি অভিষেকের৷ তিনি দিল্লি থেকে না ফেরায় অভিষেকও রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, যত দিন না রাজ্যপাল রাজভবনে ফিরবেন, যত দিন না তিনি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে সাক্ষাতের সময় দেবেন, তত দিন এই ধর্না চলবে।
এরই পাশাপাশি তাঁর দাওয়ায় রাজ্যপালকে ‘ধাওয়া’ করতে হবে। অর্থাৎ, তিনি রাজভবনে না-ফিরলেও তৃণমূলের দাবিদাওয়া থেকে রেহাই পাবেন না। রাজ্যপাল যখন যেখানে যে অনুষ্ঠানেই যাবেন, তাঁকে বলতে হবে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিন! মাথা গোঁজার ছাদ দিন৷ আর দায়িত্ব নিয়ে এই কর্মসূচি সংগঠিত করবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব।