তৃণমূলের অন্দরে ফের অস্বস্তি, এবার ‘বেসুরো’ হাওড়ার প্রসূন

তৃণমূলের অন্দরে ফের অস্বস্তি, এবার ‘বেসুরো’ হাওড়ার প্রসূন

 হাওড়া: অন্দরমহলে গলযোগ যেন পিছু ছাড়ছেই না তৃণমূলে৷ শুক্রবার রাতে দলে ফিরেছেন শতাব্দী, কিন্তু তার কয়েকঘণ্টা পর ‘বেসুরো’ সুর শোনা গেল হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়৷ প্রসূনের অভিযোগ, তাঁকে দলীয় কোনও খবর জানানো হয় না সেভাবে৷ আর এই কারণেই তার অভিমানী মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে৷ 

শুক্রবার রাতে ৩ বারের সাংসদ প্রসূন বলেন, তিনি দীর্ঘ ৯ বছর ধরে হাওড়ার বাসিন্দা। কিন্তু তার অভিযোগের কণ্ঠে শোনা গেল, ‘দলীয় সাংগঠনিক রদবদলের কোনও খবর আমাকে জানানো হয় না৷ কে কোন পদে আসীন হচ্ছেন, তাও আমাকে জানানো হয় না দলীয় তরফে।’’ তিনি এও বলেন, দলীয় কর্মীদের তিনি চেনেন না, তাঁরা নিজে থেকে এসেই তাঁর সাথে পরিচয় করেন৷ এই প্রসঙ্গে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে প্রশ্ন করেন, ‘‘এইটুকু জানানো কি দলের কর্তব্য নয়?’’ 

দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে হাওড়ার সাংসদ একটি ঘটনাকে উল্লেখ করে বলেন, গতবছর জুলাইয়ে লক্ষীরতন শুক্লাকে হাওড়া তৃণমূলের জেলা সভাপতি নিযুক্ত করার খবরও তাঁকে জানানো হয়নি। এই খবর তিনি সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছে বলেই জানালেন তৃণমূল নেতা৷  এছাড়াও তিনি শুক্রবার বলেন, ‘‘আমি দিদির আদর্শে অনুপ্রাণিত, সেই টানেই দলে আছি।’’ এছাড়াও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দলের সাংগঠনিক রদবদলের ক্ষেত্রে তার মতামত জরুরি না হলেও একজন সাংসদ হিসেবে দলের তরফ থেকে তাকে সেটা জানানো উচিত। এর পরই খানিকটা অভিমানী সুরে তিনি বলেন, ‘টানা ৯ বছর হাওড়ায় দলের জন্য পড়ে আছি, অভিমান তো আমার হতেই পারে।’’ তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্যের পর বাংলার রাজনীতিতে ফের শোরগোল শোনা যায়৷ তৃণমূলের অন্দরে কি তবে এবার অস্বস্তি বাড়ছে নেতাদের? প্রশ্নটা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসার সাথে সাথে। শতাব্দীর মতো কি অভিমানী প্রসূনকে ঘরে ফেরাতে পারবে তৃণমূল, নাকি শুভেন্দু-রাজীবের দেখানো পথেই হাঁটবেন তিনি? যদিও, প্রসূনের সঙ্গে শনিবার দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা করেন দলের শীর্ষ নেতারা৷ সেখানে সব সমস্যা মিটি গিয়েছে বলে খবর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × three =