জাঙ্গিপাড়া: সংক্রমণ এড়াতেই এবছর ভার্চুয়াল সভা করে ২১ ‘শহিদ দিবস’ পালন করেছে তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবন থেকেই গোটা রাজ্যে বার্তা পৌঁছে যায়। কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও সংক্রমণ এড়ানো গেল না। করোনা আক্রান্ত হলেন তৃণমূল বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভা করে ফেরেন তিনি। বুধবার তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরেই গোটা হুগলি জেলা জুড়ে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। কে কে ওই বিধায়কের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। ওই বিধায়কের সংস্পর্শে যাঁরা যাঁরা এসেছেন, তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন নিয়োগ আদৌ হবে? কারা পাবেন চাকরি? ইঙ্গিত মমতার
মঙ্গলবার হুগলির চণ্ডীতলায় ভার্চুয়াল জনসভায় অংশগ্রহণ করেন জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এরপর বুধবার তাঁর করোনা রিপোর্ট আসে। জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই খবর প্রকাশ পাওয়ার পরেই হুগলি জেলার তৃণমূলে শোরগোল বেধে যায়। কে কে বিধায়কের সংস্পর্শে এসেছিলেন, সেই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ভার্চুয়াল সম্মেলনে ছিলেন। তাঁকে হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন হুগলি জেলা তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবও।
আরও পড়ুন: আগামী ৩ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক পরিষেবা, সিদ্ধান্ত ব্যাঙ্কার্স কমিটির
সূত্রের খবর, বিধায়কের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ছেলে, দেহরক্ষী ও গাড়ির ড্রাইভার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রত্যেকেই বর্তমানে হোম আইসোলেশনে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে তাঁর বাড়ি স্যানিটাইজ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কয়েকদিন আগেই স্নেহাশিসবাবুর জ্বর এসেছিল। সেই সময় সাধারণ প্যারাসিটামল খাওয়ার পর তাঁর জ্বর সেরে যায়। এরপর তিনি করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গিয়েছে।