জলপাইগুড়ি: কয়লা-পাচার কণ্ডে এখন জেলবন্দি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ তাকে কী? পঞ্চায়েত ভোটর আগে তাঁর সুর শোনা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের কালারফুল নেতা মদন মিত্রের গলায়৷ অনুব্রত মণ্ডলের সুরেই গুড়-বাতাসা বিলির নিদান দিলেন কামারহাটির বিধায়ক৷ এর আগে ভোটে গুড় বাতাসার কথা শোনা গিয়েছিল কেষ্টর মুখে। বুধবার ময়নাগুড়ির দোমোহনির ভোট প্রচারের মঞ্চে মদনের গলায় শেনা গেল কেষ্টর সেই সুর। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা আসলে তাঁদের গুড়-বাতাসা দিয়ে আপ্যায়ন করার নিদান দিলেন মদন৷
পঞ্চায়েতের প্রচারে মঙ্গলবার থেকে ময়নাগুড়িতেই রয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক। ময়নাগুড়ির জল্পেশ মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রথমদিনের প্রচার শুরু করেন তিনি। বুধবার ময়নাগুড়ি ব্যাঙকান্দি কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচারে নামেন। দোমোহনীর সভায় উপস্থিত তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে মদনের বার্তা, “এই গরমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা যদি ক্লান্ত হয়ে আপনাদের কাছে এসে জল চায় তবে আপনারা গুড়, বাতাসা, মিষ্টি, জল দেবেন। সঙ্গে রুটিও দেবেন। কিন্তু তাদেরকে বলে দেবেন ভোটটা আমরা তৃণমূলকেই দেব।”
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে পঞ্চায়েত ভোট করানো নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। অবশেষে হাই কোর্টের নির্দেশে রাজ্যে এসেছে বাহিনী৷ এরই মধ্যে মদন মিত্রের এই কথা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। গুড়-বাতাসা বলতে তিনি ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে৷