কলকাতা: ২০২৪-এর লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে জোট বেঁধেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি৷ দিল্লির মসনদ থেকে মোদী সরকারকে উৎখাত করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে ২৬টি রাজনৈতিক দল৷ এই মহাজোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’৷ কিন্তু কে হবে জোটের প্রধানমন্ত্রীর মুখ? তা নিয়ে অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোনও আলোচনা হয়নি৷ কিন্তু তার আগেই প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার হিসাবে উঠে এল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তৃণমূলের আইটি সেলের কনক্লেভে এসে সেই জল্পনাই উস্কে দিলেন কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিমরা৷ অগণিত তৃণমূল সমর্থকদের মনের ইচ্ছাও তাই৷ যদিও মমতা বারবারই বসেছেন, তিনি কোনও আশায় জোট বাঁধেননি। তাঁর লক্ষ্য দেশকে বিজেপি মুক্ত করা৷ কিন্তু, তাঁর অনুগামীদের মনের ইচ্ছা স্পষ্ট হয়ে গেল রবিবারের অনুষ্ঠানে।
রবিবার মূলত তৃণমূলের আইটিসেলের কনক্লেভে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে তুলে ধরার জল্পনা উস্কে দিলেন কুণাল ঘোষ এবং ফিরহাদ হাকিম। এ দিনের অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে লেখাছিল, ‘বলছে বাংলার জনতা, প্রধানমন্ত্রী হোক মমতা’। তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্যেও উঠে এল সেই কথা। তিনি বলেন, “ বিজেপিকে দিল্লি থেকে সরাতেই হবে। কোনও পদের দৌড়ে নেই তৃণমূল। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রে সব সম্ভব।”
এদিন নিজের বক্তব্যের সমর্থনে ইতিহাসের বেশ কিছু ঘটনার উদাহরণও টেনে আনেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেম, “জ্যোতি বসুর কাছে যখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব এসেছিল, তখন সিপিএমের কাছে ক’জন এমপি ছিল?” ইন্দ্রকুমার গুজরাল থেকে শুরু করে এইচডি দেবেগৌড়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, জোট রাজনীতিতে মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়া অসম্ভব নয়। বরং সাতবারের সাংসদ, চারবারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রধানমন্ত্রী পদের যোগ্যতম দাবিদার। এই লক্ষ্যে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনেই জেতার লক্ষ্যে রাখতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।
একই সুর শোনা যায় ফিরহাদ হাকিমের গলাতেও৷ তিনি বলেন, “মমতাদি ২০ জুলাই আমাকে ডেকে বলেছিলেন, আমি যেন কোনওভাবে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দিদি প্রধানমন্ত্রী হবেন সে কথা না বলি। দিদি আমাকে বলে আমার মুখ বন্ধ রাখতে পারবেন, কিন্তু তিনি তৃণমূল কর্মীদের হৃদয়ে রয়েছেন৷ তাঁরা সবাই মমতাদিকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায়।”