নন্দীগ্রাম মহারণের আগে ফের ভাঙন শাসকদলে! BJP-তে গেলেন দুই নেতা

বিধানসভার টিকিট না পেয়েই দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা

কলকাতা: রাজনৈতিক নেতাদের দলবদলকে কেন্দ্র করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, তা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। প্রথম দফার নির্বাচন পেরিয়ে দ্বিতীয় দফার কাউনডাউন শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু দলবদলের খেলা বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় জারি রয়েছে এখনও। এদিন তারই আরো এক নিদর্শন দেখল একুশের বাংলা।

ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিলেন শিলিগুড়িল প্রাক্তন তৃণমূল নেতা নান্টু পাল এবং জোঁড়াসাকোর নেতা দীনেশ বাজাজ, এদিন এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। দিন কয়েক আগেও শিলিগুড়ির ডেপুটি মেয়র ছিলেন নান্টু পাল। কিন্তু সম্প্রতি তাঁকে ভোটে লড়ার টিকিট দেওয়া হয়নি শাসকদলের তরফে। এ নিয়ে নিজের ক্ষোভ আগেই উগরে দিয়েছিলেন তিনি। এদিন সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন নান্টু পাল। গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপি চারিদিকে উন্নয়ন করছে। সোনার বাংলা তৈরি হবে।” শিলিগুড়ির উন্নয়নের স্বার্থেই গেরুয়া শিবিরে পা রেখেছেন বলে জানিয়েছেন নান্টু পাল।

এদিকে দলবদল করার সঙ্গে সঙ্গেই পুরোনো দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দীনেশ বাজাজও। দলের টিকিট না পাওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “এবার দিদিমণি নিজে আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন তোমাকে বিধানসভায় টিকিট দেবো। কিন্তু কথা রাখতে পারেননি। তাই আমি বাধ্য হয়েছি এই সিদ্ধান্ত নিতে।” শাসকদল আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণে নেই বলেও মন্তব্য করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতা দীনেশ বাজাজ। এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ঠুকতে ছাড়েননি তিনি। বলেন, “ভাইপোই সবটা চালাচ্ছে। হয়তো ওনার কথাতেই এটা হয়েছে।”

বস্তুত, ভোট চলাকালীন সময়ে, বিশেষত নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনের মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে রাজ্যের শাসক শিবিরে এই ভাঙন নিঃসন্দেহে নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলবে ঘাসফুল বাহিনীকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *