নন্দীগ্রাম: হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর বিতর্কিত জয়ের পর এবার তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করলেন সুফিয়ান৷ এই সুফিয়ানের সঙ্গেই এক সময় কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই নন্দীগ্রামের ভূমি আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু৷ সুফিয়ানের হুঁশিয়ারি, নন্দীগ্রামের মানুষ আর শুভেন্দু অধিকারীকে চান না৷ মানুষের সঙ্গে এই প্রতারণার যোগ্য জবাব পাবেন বিজেপি বিধায়ক৷
আরও পড়ুন- তবে কি ভোটের ফল পুনর্গণনার দিকে এগোচ্ছে রাজ্য? কী জানালেন দিলীপ ঘোষ
সুফিয়ানের অভিযোগ, চক্রান্ত করে নন্দীগ্রামে জিতেছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ যা মানুষের কাছে স্পষ্ট৷ মানুষ এই চক্রান্তকে কখনই মেনে নেবেন না৷ এই চক্রান্তের ফল যে কতখানি ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা সুযোগ পেলেই বুঝিয়ে দেবে নন্দীগ্রামের মানুষ৷ মানুষকে বোকা বানানোর জবাব উনি পাবেন৷ তাঁর চরম হুঁশিয়ারি, শুভেন্দু অধিকারী এলাকায় ঢুকলেই গণবিক্ষোভ হবে৷ তাঁর অভিযোগ, এখানে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ সৃষ্টি করতে চয়েছেন শুভেন্দু৷ সংখ্যালঘু মানুষকে যে ভাবে অপমান করা হয়েছে, তার জবাব উনি পাবেন৷ এদিকে পাল্টা জবাবে বিজেপি নেতা প্রলয় পাল বলেন, নন্দীগ্রামের মানুষ শুভেন্দু অধিকারীকে নির্বাচিত করেছেন৷ উনি যেদিন ইচ্ছা সেদিন এলাকায় যাবেন৷ কেউ তাঁকে রুখতে পারবে না৷ আর তৃণমূলের কর্মীরা তাঁকে বাঁধা দিলে রুখে দাঁড়াবেন বিজেপি সমর্থকরা৷
তাঁর কথায়, এলাকায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে ঢুকতে না দেওয়ার অর্থ সংবিধানকে অমান্য করা৷ নন্দীগ্রামে পরাজয় মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল৷ সে কারণেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার ছক কষছে৷ আক চক্রান্তের বাহানা করছে৷ প্রসঙ্গত, ভোট গণনার দিন প্রথমে বলা হয়েছিল নন্দীগ্রামে জয়া হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু পরে ফের জানানো হয়, এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবিও তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ যদিও তাতে অনুমোদন দেয়নি কমিশন৷