কলকাতা: তৃণমূলের ৫ জন সাংসদ নাকি বিজেপিতে আসতে চলেছেন! এই খবরের ইতিমধ্যেই বঙ্গ রাজনীতি সরগরম। বহু সময় আগে থেকেই তৃনমূল শিবিরে যে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে বিজেপি তা বলাই বাহুল্য। যদিও ৫ জন তৃণমূল সাংসদের গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে তাতে অবশ্য একেবারেই পাত্তা দিচ্ছেন না এবং দলের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এদিন তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি স্পষ্ট জানান, বাইরে থেকে কেউ উড়ে এসে তৃণমূলের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
দলবদলের জল্পনা উস্কে দেওয়া এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এদিন কাকলি বলেন, তৃণমূল শব্দটার মানে হল, পায়ের তলার সেই ঘাস, যে ঘাসের ওপর দিয়ে মাড়িয়ে চলে গেলেও সে মরে না, উঠে দাঁড়ায়। আর সেই ঘাসফুলের বীজ আরও লক্ষ ঘাসের সৃষ্টি করে। এই মাটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের জোর এতটাই। এই তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় দেখানো যায় না। ৪-৫ জন বা ৮-১০ জন লোককে বাইরে থেকে নিয়ে এসে তাদের প্রলোভন দেখিয়ে, পতাকা হাতে তুলে দেওয়ার পরেই কাজ শেষ হয়ে যায়। পশ্চিম বাংলার বুকে কোনো রাজনৈতিক দল বাইরে থেকে উড়ে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু ক্ষতি করতে পারবে না। কাকলির কথায়, তৃণমূল বাংলায় খুব শক্ত পোক্ত জমিতেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। উল্লেখ্য, তৃণমূল সাংসদ বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে দাবি করেছেন অর্জুন সিং। বিজেপি সাংসদের কথায়, ক্যামেরা সরিয়ে নিলে দেখা যাবে প্রথমেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন সৌগত রায়। এই প্রেক্ষিতে কাকলি ঘোষ দস্তিদার অর্জুনকে কটাক্ষ করেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, অর্জুন সিং কি শুভেন্দু অধিকারীর মুখপাত্র? এই প্রেক্ষিতেই তিনি দাবি করেন, বাংলার যে ক’জন নেতা ভারতীয় জনতা পার্টিতে ছিলেন বা এখনো আছেন, তাদের ওপর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব একেবারেই ভরসা করতে পারছে না। সেই কারণে অন্যান্য রাজ্যের থেকে নেতাদের দল এ রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। বাঙালি নেতৃত্বের ওপরে আস্থা রাখতে না পেরে দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে নেতৃত্বকে নিয়ে এসে বাংলার রাজনৈতিক কর্মী এবং সুবুদ্ধি সম্পন্ন বাঙালির মাথার উপরে তাদের চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা বাঙালি মেনে নেবে না। প্রসঙ্গত, অর্জুন সিংয়ের দাবির জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। যদিও এই প্রেক্ষিতে সরাসরি মন্তব্য করে সৌগত রায় জানিয়েছেন, তিনি মরে গেলেও বিজেপিতে যাবেন না। রাজনীতি ছেড়ে দিতে পারেন, তাও বিজেপিতে যোগ দেবেন না।