ভাঙড়: ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড়৷ ভোটের পরেও অশান্তির রেশ কাটেনি৷ এই পরিস্থিতিতে এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা৷ ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ৷ ভয়ে ভাঙড়-২ ব্লকের একাধিক গ্রাম পুরুষশূন্য। এই পরিস্থিতিতে একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে ভাঙড় থেকে কত মানুষ ধর্মতলায় সমবেত হতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে।
তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর, দলের তরফে ভাঙড়-২ ব্লকের দশটি পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন বুথ থেকে দলীয় কর্মীদের নিজেদের মতো করে হাতিশালা এলাকায় গিয়ে মিলিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে আরাবুল ইসলামদের নেতৃত্বে তাঁরা গাড়ি করে কলকাতায় আসবেন। আবার ভাঙড়-১ ব্লকের তিনটি অঞ্চল থেকে দলীয় কর্মীরা বামনঘাটার জলপথ এলাকায় গিয়ে মিলিত হবেন।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা হাকিমুল ইসলাম বলেন, ‘‘এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে৷ তাই সোজা ভাঙড় থেকে মিছিল করে ধর্মতলায় যাওয়া সম্ভব নয়। ২০০টি গাড়ির বন্দোবস্ত করা হয়েছে৷ যাতে ভাঙড়-২ ব্লক এলাকার দলীয় কর্মীরা জনসভায় যেতে পারেন। আশা করছি ১০-১৫ হাজার লোক যাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কত জন এসে পৌঁছবেন, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় থেকেই যাচ্ছে।’’ ১৪৪ লাগু থাকায় সমাবেশের জন্য গত কয়েক দিনে ভাঙড়ে প্রস্তুতি-বৈঠক করা সম্ভব হয়নি তৃণমূলের তরফে। নিউ টাউনের শাপুরজি এলাকায় গিয়ে বেঠক করেছেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম-সওকাত মোল্লারা৷ এমতাবস্থায় ভাঙড় থেকে জনজোয়ার কতটা এসে পৌঁছবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই৷