ভোট হওয়া ৬টির মধ্যে কোন কারণে তিনটিতে জয়ের আশায় তৃণমূল?

ভোট হওয়া ৬টির মধ্যে কোন কারণে তিনটিতে জয়ের আশায় তৃণমূল?

imagesmissing

নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফায় ভোট হয়েছে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে। দ্বিতীয় দফায় ভোট হয়েছে রায়গঞ্জ, বালুরঘাট এবং দার্জিলিং কেন্দ্রে। গত লোকসভা নির্বাচনে এই ছ’টি কেন্দ্রেই জয়লাভ করেছিল বিজেপি। সেখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। এবারেও বিজেপি ছ’টি কেন্দ্রেই জিতবে বলে দাবি করছে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি তারা অন্তত তিনটি আসনে জয়লাভ করবে।

তৃণমূল সূত্রে খবর, যে তিনটি আসনে তারা জয়ের আশা করছে সেগুলি হল, কোচবিহার, রায়গঞ্জ এবং দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র। তাদের এই ভাবনার পেছনে কোন বিশেষ কারণ কাজ করছে? প্রথমেই আসা যাক দার্জিলিং কেন্দ্রের কথা। পাহাড়ে সবচেয়ে শক্তিশালী অনীত থাপার দল তৃণমূলকে সমর্থন করেছে। তৃণমূল প্রার্থী গোপাল মামা উচ্চশিক্ষিত এবং পাহাড়ের ভূমিপুত্র। উল্টো দিকে বিজেপি প্রার্থী যিনি গতবার জিতেছিলেন সেই রাজু বিস্তা ভিন রাজ্যের। তাঁকে প্রার্থী করা হবে কিনা তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল বহুদিন ধরে। শেষ পর্যন্ত তাঁকেই প্রার্থী করা হয়েছে।

গত পাঁচ বছর সাংসদ হয়ে তিনি এমন কোনও উল্লেখযোগ্য কাজ করেননি, যা বিজেপি জোর গলায় প্রচার করতে পারে। এমনই অভিযোগ করছেন পাহাড়বাসীর একাংশ। সবচেয়ে বড় কথা দার্জিলিং লোকসভায় বিজেপির এক বিধায়ক নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। বলাবাহুল্য তিনি কিছুটা হলেও ভোট কাটবেন। এছাড়া দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ছে সমতলের চোপড়া কেন্দ্র। যেখানে তৃণমূল প্রার্থী বিপুল ভোটের লিড পাবেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করে। এছাড়া সমতলে গতবার যে বিজেপি ঝড় দেখা গিয়েছিল  ততটা এবার দেখা যাবে না বলেই অনেকের ধারণা। সবচেয়ে বড় কথা বিজেপি গতবার পাহাড়ের তিনটি কেন্দ্র দার্জিলিং, কার্শিয়াং এবং কালিম্পং থেকে বিপুল ভোটের লিড পেয়েছিল। সেখানেই পিছিয়ে যায় তৃণমূল। তাই এটা স্পষ্ট গতবারের থেকে তৃণমূল এবার প্রবল ভাবে লড়াইয়ে রয়েছে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে। সবমিলিয়ে এই কেন্দ্রে জয়ের আশা করছে তৃণমূল।

এবার আসা যাক কোচবিহারের কথায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক গতবার কোচবিহারে জিতেছিলেন। এবারেও তাঁকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। কিন্তু গত বিধানসভা ভোটের পর থেকেই কোচবিহারে ধীরে ধীরে শক্তিক্ষয় হয়েছে বিজেপির। সংখ্যালঘুু ভোটের সিংহভাগ পাবে তৃণমূলই। এর পাশাপাশি হিন্দু ভোটের যে অংশ তৃণমূলের দিকে থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল গতবার এবার তার অনেকটাই ফিরেছে বলে শাসক দলের দাবি। সেই সঙ্গে সাংগঠনিকভাবেও তৃণমূল কোচবিহারে জমি শক্ত করেছে। তাই কোচবিহার কেন্দ্রে জয়ের আশা করছে তৃণমূল।

এছাড়া রায়গঞ্জ লোকসভা নিয়েও যথেষ্ট আশাবাদী শাসক দল। গত বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফলের নিরিখে রায়গঞ্জে জেতার জায়গায় রয়েছে তৃণমূল।  বিজেপির টিকিটে গতবার রায়গঞ্জ থেকে জিতেছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী। কিন্তু তিনি নিজেই এবার ওই কেন্দ্র থেকে আর প্রার্থী হতে চাননি বলে খবর। পরিবর্তে দেবশ্রী লড়ছেন দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র থেকে। এবার বিজেপি প্রার্থী করেছে কার্তিক পালকে। সেই সূত্রে তৃণমূলের দাবি রায়গঞ্জ থেকে যেহেতু জয়ী সাংসদকে বিজেপি প্রার্থী করেনি, তাতেই বোঝা যাচ্ছে কেন্দ্রটি বিজেপির জন্য কতটা নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। তাই কৃষ্ণ কল্যাণীর হাত ধরে এই কেন্দ্রে জয়ের আশা করছে তৃণমূল। যদিও বিজেপির দাবি ছ’টি কেন্দ্রেই তারা ফের জিতবে। তবে কারা শেষ হাসি হাসবে তা জানা যাবে ৪ জুন ফল প্রকাশের দিনে।

ad 728x90 1

ad 728x90 1

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *