কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জেলবন্দি প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ গত বছর ২১ জুলাইয়ের পরেই গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি৷ ফলে তাঁকে বাদ দিয়েই হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা ইভেন্ট ২১ জুলাই এর মঞ্চের খুঁটিপুজো৷ খুঁটিপুজো করলেন সুব্রত বক্সি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ডে মুখ পুড়েছে দলের৷ কটূকথা বলতে ছাড়েনি বিরোধীরাও৷ তবে বাংলার মানুষ এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর উন্নয়নের উপর ভরসা রেখেছেন। এমতাবস্থায় ২০২৩-এ ২১ জুলাইয়ের আগে দল থেকে পুরোপুরি মুছে ফেলা হল পার্থ চট্টাপাধ্যায়কে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ধরা পড়ার পরেই দল এবং মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল তাঁকে। তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার হওয়ার পর তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়। পার্থনা থাকলেও, মহাসচিব পদটি দলেরই ছিল। ঠিক হয়েছিল এই পদে বসানো হবে মুকুল রায়কে। কিন্তু তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় পদটি শূন্যই পরেছিল। অবশেষে একুশে জুলাইয়ের আগে মহাসটিব পদটিই তুলে দিল তৃণমূল। ফলে এবার থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আর রইল না ‘মহাসচিব’ পদ। সেখানে উপযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি, তেমনটা কিন্তু নয়৷ নয়। কিন্তু যে পদ দলকে কলঙ্কিত করেছিল, সেই পদটিই আর রাখতে নারাজ তৃণমূল। সেই কারণেই পদটি তুলে দেওয়া হল বলে সূত্রের খবর৷ একই সঙ্গে বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে ঘরে বসতেন সেই ঘরেও তালা ঝোলানো হল। অন্য কোনও মন্ত্রীর বসার ব্যবস্থা করা হয়নি সেখানে। এমনকী মহাসচিব বলে যেখানে বসতেন সেই ঘরেও ঝুলল তালা। দল তাঁকে সরিয়ে দিলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও তৃণমূলের পক্ষেই কথা বলেন।