‘চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়’, মুখপত্রে রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের

‘চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়’, মুখপত্রে রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের

4bc50bac0f5b4623bd1088c80a69eb5e

কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বঙ্গ রাজনীতির কোনও নতুন অধ্যায় নয়৷ জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই শাসক দলের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত৷ এর পর থেকে একাধিক ইস্যুতে সংঘাতে জড়িয়েছে তাঁরা৷ এমনকী পরিস্থিতি এতটাই তিক্ততার পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করেছেন তৃণমূল সাংসদরা। সেই সংঘাতের আবহেই এবার দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলায় রাজ্যপালকে তুলোধোনা করল শাসক দল। 

আরও পড়ুন-কারচুপির অভিযোগ! কবর থেকে তুলে ফের ময়নাতদন্ত হবে আনিসের দেহের

আক্রমণ শানিয়ে দলীয় মুখপত্রে বলা হয়েছে, ‘বিলাসবহুল জীবনযাপণের জন্য বিশেষ রাজনৈতিক দলের পদলেহন করছেন রাজ্যপাল৷’ শুধু তাই নয়, রাজ্যপালের পদ নিয়ে তৃণমূলের বক্তব্য,  ‘ওঁর চাকরি বা অবসর সবটাই নির্ভর করছে বিজেপির ওপর।’ তৃণমূলের দাবি, ‘বিজেপির স্বার্থ চরিতার্থ না হলে তাঁকে রাজভবন ছেড়ে চলে যেতে হবে৷’ কটাক্ষ করে তৃণমূলের মুখপত্রে আরও বলা হয়েছে, ‘বিজেপির কথা শুনে চলার জন্য জগদীপ ধনকড়কে ভারতরত্ন দেওয়া উচিত৷’ তোপ দেগে লেখা হয়েছে, ‘চাটুকারিতা করলেই রাজ্যপালের বিলাবহুল জীবন পাওয়া যায়, তাই এরকম ব্যক্তি খুঁজে পেতে কোনও অসুবিধা হয় না কেন্দ্রের। রাজ্যপাল তাঁর পদটা মস্করার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন৷’ কার্যত গেরুয়া শিবিরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, ‘চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়’। 

কিন্তু সাংবিধানিক পদে থাকা কারও সম্পর্কে এহেন শব্দবন্ধনী ব্যবহার করা যায় কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনীতির কারবারিরা৷ দিন কয়েক আগেই নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে রাজ্যপালকে ব্লক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এর পরেও কয়েকদিন আগে রাজ্যপাল টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে তলব করেছিলেন। 

এখানেই শেষ নয়, প্রশাসনিক কাজে রাজ্যপালের অতিসক্রিয়তা নিয়ে মামলাও হয় হাইকোর্টে। মামলাকারীর অভিযো ছিল,  রাজ্যপাল সংবিধান বহির্ভূত কাজ করছেন। এই ধরনের আচরণ একজন রাজ্যপালের কাছ থেকে কাম্য নয়। যদিও সেই মামলা খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট৷