জঙ্গলমহল: জঙ্গলমহলে দল ভারী হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে প্রতিটা দলই যখন শক্তি বাড়াতে ব্যস্ত তখন এভাবে বিজেপির দল ভারী হওয়ার ঘটনা অস্বস্তি বাড়াবে তৃণমূলে। অস্বস্তির আরও একটা কারণ, তৃণমূল থেকেই বহু নেতা-কর্মী দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করছে। শেষ এক সপ্তাহ ধরে লেগেই আছে এই ট্রেন্ড। একই দৃশ্য মালদহ এবং শহর কলকাতাতেও।
মালদহ মালদা জেলার চাঁচল বিধানসভার গৌরিপুর গ্রামের তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস থেকে দুই শতাধিক কৃষক বিজেপি কিষান মোর্চায় যোগদান করেন। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রথীন্দ্র বোস। কলকাতা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং-এর উপস্থিতিতে বেশ কিছু আরএসপি কর্মী রাজ্য বিজেপি সদর দফতরে যোগ দিয়েছেন। ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর বিধানসভার হাড়দা অঞ্চলে সিপিএম থেকে ও তৃণমূল থেকে মোট ৫২৫টি পরিবার গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত এক সপ্তাহে জঙ্গলমহলে বিজেপিতে ব্যাপক সংখ্যায় যোগদান লক্ষ করা যাচ্ছে। ২ সেপ্টেম্বর পুরুলিয়ার কাশীপুর বিধানসভা এলাকায় বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বিরোধী দল থেকে আগত প্রায় ১৫০ জন বিজেপিতে যোগ দেন। ৫ সেপ্টেম্বর পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন প্রায় ৭০০-র মতো রাজনৈতিক নেতা-কর্মী। সেদিনই ঝাড়গ্রামে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঝাড়গ্রামের বিজেপির সাংসদ কুনার হেমব্রমের উপস্থিতিতে নয়াগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন কমপক্ষে ৫০০ জন নেতা কর্মী।
বিজেপির রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন, ’১৯-এ হাফ, ২১-এ সাফ।’ ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে অর্ধেক আসন দখল করার পর তৃণমূলকে বাংলাছাড়া করতে বদ্ধপরিকর দিলীপ ও তাঁর দল। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে দৃঢ় পদক্ষেপেই এগোচ্ছে বিজেপি, তা বোঝাই যাচ্ছে। তবে অবশেষে বাংলার দখল কে নেয় তা সময়ই বলবে।