বাঁকুড়া : গরুকে নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর এদেশে নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার রাজনীতির আঙিনায় উঠে এসেছে এই নিতান্ত নিরীহ গৃহপালিত পশুর নাম। সম্প্রতি ভারতের গোরুকেন্দ্রিক এই রাজনীতিতে যোগ হয়েছে বৈজ্ঞানিক মাত্রাও। তবে এদিন গো-রাজনীতি নিয়ে ভোটমুখী বাংলায় রীতিমতো হিংসার বাতাবরণ তৈরি হল।
বিজেপি কর্মীর বাগানে ঢুকে পড়ল তৃণমূল কর্মীর গরু, এদিন এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। বাগানে গরু ঢুকে পড়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু খবরের শিরোনামে এহেন ঘটনার আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। কারণ এই সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এদিন প্রায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে বাঁকুড়ার মেজিয়া গ্রাম। তৃণমূল কর্মীর গরু বিজেপি কর্মীর বাগানে ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে বচসায় জড়িয়ে পড়েন দুই দলের সমর্থকরা। সেই বচসাই ক্রমে হাতাহাতিতে মোড় নেয়। একসময় তা পরিণত হয় খণ্ডযুদ্ধে। ভোটের আবহে এই সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাপ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘নন্দীগ্রাম আজ শ্মশানের নীরবতা’, বিবৃতি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের!
ঠিক কী ঘটেছিল বাঁকুড়ার মেজিয়া গ্রামে? জানা গেছে, এদিন তারাপুর গ্রামের জনৈক বিজেপি কর্মীর সবজি ক্ষেতে ঢুকে পড়েছিল নিরীহ এক গরু। কিন্তু ঘটনাচক্রে দেখা যায় সেটি একজন তৃণমূল কর্মীর গৃহপালিত গরু। এই রাজনৈতিক তাৎপর্য আবিষ্কারের পরেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন গরু আর বাগানের মালিক। এমনিতে যদিও গরুর প্রতি ভক্তি প্রদর্শনই করে থাকেন গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীরা। কিন্তু নিজের সবজির বাগানে তৃণমূল কর্মীর গরু একেবারেই বরদাস্ত করতে রাজি নন বিজেপি কর্মী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বচসা হাতাহাতি এমন পর্যায়ে পৌঁছোয় যে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য।
সূত্রের খবর, এই ঘটনার পর আলোচ্য ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে থানায় হাজির হন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। এরপর থানায় অবস্থান বিক্ষোভও শুরু করা হয় গেরুয়া দলের তরফে।