ইংরেজবাজার: মাত্র কয়েকদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এর মধ্যেই দলে অন্দরে বিদ্রোহের ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গেছে। টলিউড তারকাদের ভিড়ে প্রার্থী তালিকায় ব্রাত্য থেকেছেন শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা। ফলে ফের শুরু হয়েছে দলবদলের হিরিক। এমতাবস্থায় ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও নতুন করে বাদ পড়লেন মালদহের এক তৃণমূল নেত্রী।
মালদহের হবিবপুর থেকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ঘাসফুলের পতাকায় ভোটে দাঁড়ানোর কথা ছিল সরলা মুর্মুর। কিন্তু হঠাৎই তাঁকে সরিয়ে ওই এলাকা থেকে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। হবিবপুর থেকে তৃণমূলের নবঘোষিত প্রার্থী হলেন প্রদীপ বাস্কে। কিন্তু কেন ঘোষণা করে দেওয়ার পরেও এভাবে প্রার্থী বদল করল তৃণমূল? ঘাসফুল শিবির সূত্রের খবরে জানা গেছে, এর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ।
বস্তুত, হবিবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সরলা মুর্মুকে নিয়ে দিনকয়েক ধরেই শোনা যাচ্ছে গেরুয়া জল্পনা। অর্থাৎ, তাঁর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য সরলা দেবী কলকাতায় চলে এসেছেন বলেও খবর ভাসছে হাওয়ায়। এমতাবস্থায়, তাঁকে বদলের প্রয়োজন অনিবার্য হয়ে পড়েছিল শাসকদলের জন্য। যদিও এ ব্যাপারে সরাসরি মুখ খোলেনি কেউই। তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার জন্য প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সরলা মুর্মু।
প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী বিদ্রোহের ছবি সামনে এসেছে মালদহেও শাসকদলের পরিস্থিতি বিশেষ সুবিধাজনক নয়। শোনা যাচ্ছে মালদহ জেলা পরিষদের ১৫ জন সদস্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পথে পা বাড়িয়েছেন। সূত্রের খবর, মালদহে তৃণমূলের ভাঙন রুখতে এদিন জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দলের সাংসদ মৌসম নূর। কিন্তু বিপর্যয় তাতে কতটা মোকাবিলা করা যাবে সেটাই এখন দেখার।