কলকাতা: ভোট আবহে পকেট থেকে গোছা গোছা নোট বার করে বিলি করার অভিযোগ উঠেছিল জলপাইগুড়ির এক তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে৷ সেই টাকা বিলি মামলায় চাঞ্চল্যকর দাবি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ওই প্রার্থী নাকি, ভোট কেনার জন্য টাকা দেননি, বরং তিনি ভিক্ষা হিসেবে টাকা দিচ্ছিলেন। জেলা শাসকের অনুসন্ধানে এমনই তথ্য উঠে এসেছে৷ শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে সেটাই তুলে ধরেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কৌঁসুলি কিশোর দত্ত। নির্বাচন কমিশনের এহেন মন্তব্যে কার্যত হেসে ফেললেন বিচারপতি।
বৃহস্পতিবার মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। জলপাইগুড়ির ওই তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলায় আরও অনেক বিষয়ে অভিযোগ তোলা হয়। বলা হয়, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ প্রকল্পের জন্য যে ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে, তা ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতেও ব্যবহার করা হয়েছিল৷ এছাড়াও ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হওয়ার পর এই কর্মসূচির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সামিল। শুধু তাই নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার কে অমরনাথ রাজনৈতিক মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ জানান শুভেন্দু। সেই সঙ্গেই তিনি জানান, জলপাইগুড়ির ওই তৃণমূল প্রার্থী ভোট কিনতে টাকা বিলি করছেন। সেই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কৌঁসুলি কিশোর দত্ত এদিন দাবি করেন, ওই প্রার্থী ভিক্ষা দিচ্ছিলেন। এরকম যুক্তি শুনে বিচারপতি কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘হতে পারে নিজের নাতনির জন্মদিন উপলক্ষে তিনি ভিক্ষা দিচ্ছিলেন।’’ অন্যদিকে, শুভেন্দুর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার দাবি করেন, ‘ওনার টাকার উৎস কী তা জানতে পারলেই প্রকৃত সত্য জানা যাবে।’