কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় অশান্তি হয়েছে ভাঙড়ে৷ বোমা-গুলিতে কেঁপে উঠেছে এলাকা৷ অশান্তির জেরে ভাঙড়ে প্রাণও গিয়েছে এক আইএসএফ কর্মীর। যে ভাঙড়ে আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্যে বার বার সংঘাত হয়েছে, সেই ভাঙড়ই শনিবার দেখল সৌজন্য। নিহত আইএসএফ কর্মীর দেহ কবর দিতে উদ্যোগী হল তৃণমূল। আইএসএফ কর্মীর দেহ কবর দেওয়ার সময় হাত বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।
গত বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন৷ মনোনয়নকে কেন্দ্র করে ভাঙড়-২ ব্লকে ব্যাপক অশান্তি হয়। দু’পক্ষের সংঘর্ষে তিন জনের মৃত্যু হয়৷ নিহতদের মধ্যে রয়েছেন জয়পুর গ্রামের আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লা। অভিযোগ, তৃণমূলের ছোড়া গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ মানেনি।
কেন এগিয়ে এলেন তৃণমূল নেতা? এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, কারও সঙ্গে মতপার্থক্য থাকতেই পারে৷ তার জন্য যেন সৌজন্যের রাজনীতি নষ্ট না হয়। এই বিষয়ে রেজাউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য আছে ঠিকই। কিন্তু এই গ্রামে কারও কোনও বিপদ হলে আমরা সবাই এক হয়ে যাই। মহিউদ্দিন আমার ভাইয়ের মতো। তাই তাঁর শেষকৃত্যে এগিয়ে এসেছি।’’
শনিবার মহিউদ্দিনের দেহ কবর দেওয়া হয় গ্রামে। তাঁর বাড়ির পাশেই চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী রেজাউদ্দিন মোল্লার বাড়ি। মহিউদ্দিনের শেষযাত্রায় সামিল হন তিনিও। কবর খোঁড়া থেকে প্রয়োজনীয় নানা কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন৷ সঙ্গে ছিলেন দলের আরও কিছু কর্মী। যা দেখে গ্রামবাসীরা বলছেন, এই সৌজন্য দু’দিন আগে দেখালে কয়েকটা প্রাণ বেঁচে যেত।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>