tmc
কলকাতা: ১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে তৃণমূলের দিল্লি অভিযান। ২ অক্টোবর গান্ধীজয়ন্তীতে রাজঘাটে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর ধর্নায় বসবেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-নেত্রী ও সাংসদরা। তাঁদের সঙ্গে বাংলা থেকে রাজধানীতে পৌঁছবে বিপুল সংখ্যক সমর্থক৷ সূত্রের খবর, দিল্লি যাত্রার উদ্দেশে আস্ত একটা ট্রেন নাকি বুক করে ফেলেছে এ রাজ্যের শাসক দল। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রে রে করে উঠেছে বিরোধীরা। গোটা ট্রেন বুকিংয়ের খরচ নিয়ে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দিল্লি অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, ০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পে প্রায় এক লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে বকেয়া রয়েছে। সেই বকেয়ার আদায় করতেই ‘দিল্লি চলো’ ডাক দিয়েছে শাসক শিবির। তৃণমূলের অভিযোগ, নির্বাচনী লড়াইয়ে এঁটে উঠতে না পেরে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে কেন্দ্র৷ বঞ্চনা করা হচ্ছে বাংলাকে৷ বরাদ্দ আটকে রাখা হয়েছে। অভিষেক হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আগামী দিনের আন্দোলন দিল্লির বুকে হবে, কৃষি ভবনের বাইরে হবে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ব সকলে।’’
এই অভিযানে দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক এমনকী পঞ্চায়েত প্রধানদেরও যোগ দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নিয়ে যাওয়া হবে ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদেরও৷ নিজেদের খরচে তাদের দিল্লি নিয়ে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে ধর্ণায় বসবেন তাঁরাও৷ এত লোক নিয়ে যেতেই আস্ত ট্রেন ভাড়া করছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু আস্ত ট্রেনের ভাড়া কত? এত বিপুল খরচ যোগান কোথা থেকে আসছে? টাকার উৎস কী? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবির৷