কেশপুর: রাজ্যে ভোট পর্বের মাঝেই অব্যাহত ভোট সন্ত্রাস৷ বিভিন্ন জায়গা থেকে মিলছে রাজনৈতিক কর্মী খুনের খবর৷ একইভাবে রাজনৈতিক হিংসার শিকার হলেন কেশপুর ব্লকের ৪ নম্বর অঞ্চলের দাদপুর গ্রামের হরিহর চকের বাসিন্দা উত্তম দলুই৷ এদিন প্রতিবাদে রাস্তার মাঝে তাঁর দেহ রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন দলীয় কর্মীরা৷ রাস্তা আটকে চলল তৃণমূলের অবরোধ৷
আরও পড়ুন- ১০ বছর কাউকে মারপিট করতে দিইনি! ফালাকাটায় বললেন মমতা
অভিযোগ, উত্তম দলুইয়ের মৃত্যুর পিছনে রয়েছে বিজেপি’র হাত৷ অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত একইভাবে বিক্ষোভ-অবরোধ চলবে৷ প্রসঙ্গত, গতকাল সকালেই মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী উত্তম দলুইয়ের৷ তার পর থেকেই শুরু হয় বিক্ষোভ৷ মৃত দেহ ফেলে অবরোধ করে তৃণমূলের কর্মীরা৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার রাতে নিজের বাড়িতে ভাত খাচ্ছিলেন উত্তম দলুই৷ সেই সময় তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় বিজেপি’র কিছু দুষ্কৃতী৷ ছুরি দিয়ে তার পেটে আঘাত করা হয়৷ গুরুতর আহত অবস্থায় উত্তম দলুইকে মেদিনীপুর কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ গতকাল সকালে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর৷
কেশপুরের তৃণমূল প্রার্থী শিউলি সাহার অভিযোগ, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পরও উত্তম দলুইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিষ্ক্রিয়। বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও যথাযথ পদক্ষেপ করা হয়নি। মূল অভিযুক্তরা এখনও ফেরার। কিন্তু বিজেপি প্রার্থীর আক্রান্ত হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আমাদের কর্মী মৃত্যুতে কেন নিষ্ক্রিয় পুলিশ? তবে অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। তাদের আশ্বাসে পরে অবশ্য অবরোধ তুলে নেয় তৃণমূল কর্মীরা৷ এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন- ভোটের দিন মোদী-মমতার প্রচারে আপত্তি সংযুক্ত মোর্চার! কমিশনের দ্বারস্থ তারা
এবার বাংলায় আট দফায় ভোট করাচ্ছে নির্বাচন কমিশন৷ ভোটে হিংসা রুখতে তৎপর তারা। ইতিমধ্যেই বহু পুলিশ-আমলাকে বদল করা হয়েছে। আনা হয়েছে বিশাল সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। হিংসা রুখে বাংলায় সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করানো কমিশনের কাছেও রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এর পরেও একের পর রাজনৈতিক কর্মী খুন, একাধিক জায়গায় গন্ডগোলের খবর উঠে আসছে৷