পৃথিবীতে আসছে ভিনগ্রহীরা! ‘২৬৭১ সাল থেকে ঘুরে এসে’ ভবিষ্যদ্বাণী করলেন অ্যালারিক

পৃথিবীতে আসছে ভিনগ্রহীরা! ‘২৬৭১ সাল থেকে ঘুরে এসে’ ভবিষ্যদ্বাণী করলেন অ্যালারিক

নিউ ইয়র্ক: জাদু! সত্যিই কি পৃথিবীর বুকে পা রাখতে চলেছে ভিনগ্রহীরা৷ সত্যই কি কউকে খুঁজে পাওয়া যাবে? যেমনটা খুঁজে পেয়েছিলেন ‘কহি মিল গয়া’র রোহিত৷ ‘ভবিষ্যৎ থেকে ঘুরে এসে’ তেমনই ইঙ্গিত দিলেন জনৈক ব্যক্তি। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী শোনার পর সাড়া পড়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়৷ তাঁর দাবি, চলতি বছরের শেষেই পৃথিবীর মাটি ছোঁবে ভিন্‌গ্রহীরা। এখানেই শেষ নয়, মোট চারটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটবে পৃথিবীতে। সে সব কবে ঘটবে তার দিনক্ষণও বাতলেছেন ওই ব্যক্তি।

আরও পড়ুন- ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সমস্যা নিয়ে গবেষণা, অর্থনীতিতে নোবেল তিনজনের

সম্প্রতি টিকটকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন ওই জনৈক ইউজার। টিকটক অ্যাকাউন্ট অনুযায়ী তাঁর নাম, ইনো অ্যালারিক। পোস্ট করা ওই ভিডিয়োতে অ্যালারিক দাবি করেছেন, তিনি ভবিষ্যৎ থেকে ঘুরে এসেছেন। অতীত বা ভবিষ্যতে তাঁর নাকি অনায়াস যাতায়াত৷ পৃথিবীতে বড় বড় ঘটনা ঘটতে চলেছে বলেই ভবিষ্যৎবাণী তাঁর৷ 

টিকটক পোস্ট আরও বলা হয়েছে, ‘সাবধান! আমি এক জন সত্যিকারের টাইম ট্র্যাভেলর। ২৬৭১ সাল থেকে ঘুরে এসেছি। পাঁচটি তারিখ সকলে মনে রেখে দিন।’

অ্যালারিক জানাচ্ছেন, আগামী ৮ ডিসেম্বর পৃথিবীর বুকে নামবে ভিন্গ্রহীরা। বিশাল এক মহাকাশযানে চড়ে আসবে তারা৷ পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে দেখা হবে তাদের। শুধু এটুকুই নয়, তাঁর আরও ভবিষ্যদ্বাণী, ভিন্‌গ্রহীরা পৃথিবীতে আসার আগেই পৃথিবীর দোসর গ্রহ খুঁজে বার করবে নাসার জেমন ওয়েব টেলিস্কোপ। আগামী ৩০ নভেম্বর সেই আবিষ্কারের কথা প্রকাশ্যে আসবে৷ 

এর পর ঘটনাক্রম উল্লেখ করে গিয়েছেন অ্যালারিক৷ তাঁর কথায়, এর পর  ঘটনাটি ঘটবে ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন ৪ জন কিশোর মিলে এক অতি প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ থেকে এমন একটি যন্ত্র খুঁজে বার করবে, যা নাকি অন্যান্য ছায়াপথে যাওয়ার গোপন পথের সন্ধান দেবে।

ওই বছরই মার্চ মাসে মানুষের একটি প্রাচীন প্রজাতি আবিষ্কার হবে। তাঁর শেষ ভবিষ্যদ্বাণী কিন্তু ভয়ঙ্কর৷ অ্যালারিক জানিয়েছেন, আগামী বছর আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে, বিশেষত সান ফ্র্যান্সিসকোতে আছড়ে পড়বে এক ভয়ানক সুনামি। সমুদ্রপৃষ্ঠে প্রায় ৭৫০ ফুট উঁচু ঢেউ উঠবে।

যদিও অ্যালারিকের এই সব ভবিষ্যদ্বাণীকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজ্ঞানীরা। মানছেন না নেটাগরিকরাও৷ তাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ঠাট্টা-তামাশা৷ ওই ব্যক্তি আগেও একাধিক আজগুবি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন বলে দাবি। যার কোনওটাই সত্য প্রমাণিত হয়নি৷