মেদিনীপুর: বন দফতরের অস্থায়ী সহায়ক পদে রাজ্য থেকে দু’হাজার কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল গত ৩০ জুলাই। এই পদের জন্য যোগ্যতামান অষ্টম শ্রেণি পাস। কিন্তু আবেদন পত্র জমা দিতে মেদিনীপুরের ডিভিশনাল বন দফতরের গেটের বাইরে রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল কয়েক হাজার স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষিতদের। তবে এমনটা এদেশে হয়েই থাকে তাই এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু আশ্চর্য এই যে করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন আবেদনের ব্যবস্থা না করে হাতে হাতে আবেদন জমা দেওয়ার নিয়ম করা হয়েছে। এই নিয়েই উঠছে বিতর্ক।
আরও পড়ুন: ১৪ দিনেই মেটাতে হবে শিক্ষকদের বেতন সমস্যা! ফের রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের!
করোনা মাথায় থাক, পানীয় জলের ব্যবস্থা পর্যন্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে হাজার ছয়েক শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতী ভোর রাত থেকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে। করোনায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা সেখানে সম্ভব হয়নি। কাছেই মেদিনীপুর জেলা পুলিশের হেড কোয়ার্টার, তাঁর উলটো দিকেই কিছুটা দূরত্বে পুলিশ লাইন। অথচ এই জায়গাতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী। স্থানীয়দের থেকে খবর পাওয়ার পর শেষদিকে এসে পুলিশ এই লাইন সামাল দেয়। এদিকে বেলা ১১টার পর সারাদিন ধরে পাঁচ জন করে ক্যাম্পাসে ঢুকিয়ে আবেদন পত্র জমা নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতালে বেলাগাম করোনা চিকিৎসার বিল, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা
অনলাইনে ফর্ম জমা না নেওয়ার রাজ্যের শাসকদলের কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধীদের একাংশ। এই পদ্ধতিতে দুর্নীতি করার সুযোগ বেশি বলে তাদের মত। তারা এও জানিয়েছে, এর আগেও খাদ্য, কৃষি, বীজ নিগম, এমনকী দমকলেও গোপনে লোক নিয়োগ করা হয়েছে। তেমনই আবেদন পত্র জমা নেওয়ার সময় পদ অস্থায়ী থাকলেও পরে তা স্থায়ী করে দেওয়া হয়েছে। মহামারীর সময় এই ভাবে আবেদন পত্র জমা নেওয়ার ব্যাপারে বিরোধীরা শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। -প্রতীকী ছবি৷