lunar eclipse
কলকাতা: মা দুর্গা কৈলাশে ফিরতেই মর্তে আসেন মা লক্ষ্মী৷ কোজাগরী পূর্ণিমায় ধুমধাম করে গৃহস্থ বাড়িতে আয়োজন করা হয় লক্ষ্মী পুজার৷ ধনসম্পদ প্রাপ্তির আশায় বন্দিত হন দেবী লক্ষ্মী। এবছরও তার অন্যথা হবে না। কিন্তু, এবারের কোজাগরী অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ৷ এর পিছনে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ। শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতরা বলছেন, এই বছর লক্ষ্মীপুজোর রাতে হতে চলেছে খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। এই গ্রহণ দৃশ্যমান হবে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে৷ এই মহাজাগতিক সন্ধিক্ষণ খুবই বিরল৷ পন্ডিতরা বলছেন, স্মরণকালে এমন যোগ তাঁদের জানা নেই৷
শাস্ত্রজ্ঞ ব্যক্তিরা বলছেন, এই মহাজাগতিক সন্ধিক্ষণে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করার পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চললে মিলবে মা লক্ষ্মীর কৃপাদৃষ্টি৷ উপচে পড়বে ধনসম্পত্তি। জানেন কী সেই নিয়ম? পঞ্জিকায় বলা আছে, ‘‘নারিকেল সহিত চিপিটক ভক্ষণ, নারিকেলের জল পান ও অক্ষক্রীড়া দ্বারা রাত্রি জাগরণে ধনবৃদ্ধি।’’ অর্থাৎ, কোজাগরী রাতে পুজো শেষে চিঁড়ে ও নারকেল খেলে এবং রাত জেগে পাশা খেললে ধন সম্পত্তি বৃদ্ধির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গ্রহণ দেখার পর স্নান করা বাধ্যতামূলক।
আগামী ২০ অক্টোবর বাংলার ২ কার্তিক মহাষষ্ঠী। এর ঠিক আটদিনের মাথায় অর্থাৎ ২৮ অক্টোবর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। পঞ্জিকা অনুযায়ী, ওই দিন রাত্রি ১টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত পূর্ণিমা তিথি থাকবে। রাত ১টা ৫ মিনিটে শুরু হবে চন্দ্রগ্রহণ। গ্রহণ চলবে রাত ২টো বেজে ২৪ মিনিট পর্যন্ত। এই সময় যে বিশেষ যোগ তৈরি হবে তার ভালো-মন্দ নিয়ে কৌতুহল মানুষ। এই সময় কী করা উচিত তা জানতেও আগ্রহী সকলে। সেই আগ্রহ নিরসন করেই শাস্ত্র বিশারদরা বলছেন, গত ৫০ বছরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো এবং চন্দ্রগ্রহণ একসঙ্গে ঘটেনি। এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানলে বদলে যেতে পারে ভাগ্যের চাকা৷