জন্মের ক্ষণিক বাদেই মৃত্যু হয় এইসব প্রাণীর, আয়ু ২৪ ঘণ্টারও কম

জন্মের ক্ষণিক বাদেই মৃত্যু হয় এইসব প্রাণীর, আয়ু ২৪ ঘণ্টারও কম

creatures

কলকাতা: মৃত্যু মানুষের জীবনের সবচেয়ে নির্মম সত্য৷ যে জন্মেছে, তাঁকে একদিন চলে যেতেই হবে৷ সে মানুষ হোক বা প্রাণি৷ কিংবা সামান্য পতঙ্গ৷ তবে প্রতিটি জীবের আয়ুষ্কাল ভিন্ন৷ কেউ হয় দীর্ঘায়ু৷ কেউ আবার ক্ষনিকের অতিথি৷ এমনকী জন্মের পর মাত্র এক দিনের মধ্যেই ফুরিয়ে যায় বেশ কিছু জীবের প্রাণ৷ পৃথিবীর আলো দেখার পর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বেঁচে থাকে তাঁরা। এর মধ্যে কিছু প্রাণি সম্পর্কে হয়তো আপনি জানেন৷ আর কিছু হয়তো অজানা।

আজকের এই প্রতিবেদনে এমন কিছু প্রাণীর কথা বলব, যাদের আয়ু খুবই কম৷ স্বল্প সময়ের জন্যেই পৃথিবীতে আসা তাদের৷ তার মধ্যে তালিকার প্রথমেই রয়েছে মশা। জানলে অবাক হবেন, কিছু মশা আছে যারা মাত্র এক দিন বাঁচে৷ যদিও মশারা বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে। প্রজাতি ভেদে তাদের আয়ুকালও ভিন্ন। কিছু মশা আছে যারা আবার দু’ দিন বা তারও বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারে৷ অনেক সময় তারা এক সপ্তাহও বেঁচে থাকতে পারে৷ 

এবার আসা যায় ইঁদুরের কথা৷ পোড়ো বাড়িতে তাদের উপদ্রব৷ অনেক সময় আমাদের বাড়িতেও হানা দেয় তারা৷ এছাড়াও এখানে-সেখানে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় ইঁদুরছানাদের। তবে ইঁদুর যদি বাড়িতে ঢোকে তাহলে আর রক্ষে নেই৷ এটা ওটা কেটে নষ্ট করে তারা। তবে তাদের আয়ুষ্কাল জানলে চমকে উঠতে পারেন৷ একটি ইঁদুর সর্বোচ্চ এক বছর বা তারও কম সময় বাঁচতে পারে।

অনেকেই বাড়িতে খরগোশ পোষেন৷ কিন্তু জানেন কি একটা খরগোশের আয়ু কতদিন? একটি খরগোশের আয়ু ৮ থেকে ১২ বছর। এর চেয়ে বেশি দিন তারা বাচে না৷

আরও একটি প্রাণি হল গিনিপিগ৷ বেশ সুন্দর ও মিষ্টি দেখতে এই প্রাণীটি ভারতে পাওয়া যায় না৷ গিনিপিগের দেখা মিলবে শুধুমাত্র দক্ষিণ আমেরিকায়৷ এটি চার থেকে আট বছর পর্যন্ত বাঁচে৷ 

মাছি আমাদের খুবই পরিচিত এক পতঙ্গ৷ এখানে-সেখানে হামেশাই মাছি উড়তে দেখা যায়৷ তাদের জীবনকাল মাত্র চার সপ্তাহ বা এক মাস৷ এর চেয়ে বেশি সময় তারা বাঁচে না। 

মাঠে-ঘাটে গেলেই দেখা মেলে মেফ্লাই-এর৷ জানেন কি পৃথিবীতে এদের জীবনকাল মাত্র কয়েক ঘণ্টার৷ এর পরেই তাদের মৃত্যু হয়৷ ছোট্ট জীবনে বংশবিস্তার করাই তাদের কাজ৷ 

ফড়িং বা ড্রগনফ্লাইয়ের আয়ুও কিন্তু খুব কম৷ জল, ঘাসের কাছে এদের দেখা মেলে৷ এদের আয়ুস্কাল মাত্র এক সপ্তাহের৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *