কলকাতা: এবছর কিছুটা দেরিতেই ঢুকেছে বর্ষা৷ তার উপর ফর্মেও ছিল না৷ উত্তরে বৃষ্টি হলেও, দক্ষিণে ছিল বিস্তর ঘাটতি৷ জুলাইয়ের শেষে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি অতিগভীর নিম্নচাপের ধাক্কায় অগাস্টের প্রথম দু’দিন গোটা দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হয়। সেই দৌলতেই ঘাটতি কিছুটা কমে। কিন্তু তারপর থেকে দশদিন কেটে গিয়েছে৷ বঙ্গোপসাগরে নতুন করে কোনও নিম্নচাপ তৈরি হয়নি। কবে হবে বুধবার পর্যন্ত সেই ইঙ্গিতও দিতে পারেনি হাওয়া অফিস।
ফি বছর বর্ষার মরশুমে বঙ্গোপসাগরে একের পর এক নিম্নচাপ তৈরি হয়। সেই সব নিম্নচাপের প্রভাবে শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়, দেশের মধ্য ও দক্ষিণ অংশের কিছু অংশেও বৃষ্টি হয়৷ আপাতত সেই নিম্নচাপ নেই৷ মূলত মৌসুমি অক্ষরেখার প্রভাবেই বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু অক্ষরেখা বর্তমান যে অবস্থানে রয়েছে, তাতে বেশি মাত্রায় বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে বিক্ষিপ্তভাবে। যে ঘূর্ণাবর্তটি রয়েছে, তার অবস্থান বিহার ও উত্তর বাংলাদেশের মধ্যে। যার প্রভাব পড়ছে উত্তরবঙ্গে৷
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশ দাস বুধবার জানান, মৌসুমি অক্ষরেখাটি দক্ষিণবঙ্গের দিকে নেমে আসবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু তেমনটা হয়নি। তিনি জানান, প্রশান্ত মহাসাগরে একটি টাইফুনের গতি-প্রকৃতির জন্য এই অক্ষরেখা নীচে নামছে না৷ তবে সপ্তাহের শেষে অক্ষরেখার অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে বলেই মনে করছেন অধিকর্তা। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গে স্থানীয়ভাবে সৃষ্ট বজ্রগর্ভ মেঘ থেকেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে। বড় এলাকা জুড়ে ভারী বৃষ্টি বিশেষ একটা নেই। পরিস্থিতির বদল না ঘটলে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি বাড়বে বলেই আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের।