জেনেভা: করোনার জেরে পাল্টে গিয়েছে সমস্ত কিছুই৷ থমকে গিয়েছে ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন৷ সারা বিশ্বে ৯ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিটা দেশের অর্থনীতির গায়েও আঘাত লেগেছে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে গোটা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে করোনা ভ্যাকসিনের দিকে৷ ইতিমধ্যে একাধিক ভ্যাকসিন নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে৷ আশা করা যাচ্ছে, এই বছরের শেষ দিকে অথবা সামনের বছরের শুরু দিকেই করোনা ভ্যাকসিন চলে আসবে বাজারে৷ কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে একটা নিরাশাজনক বার্তা দিলেন হু প্রধান টেডরোস আধানম৷
ইতিমধ্যেই ভারতের সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার আবিষ্কৃত ৩টি ভ্যাকসিন তৈরির বরাত পেয়েছে৷ সেই মতো প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষার কাজও হয়েছে৷ ফল মিলেছেও আশাজনক। বর্তমানে দুশোর বেশি ভ্যাকসিন ট্রায়াল স্টেজে আছে৷ একাধিক রাজনীতিবিদও বলছেন, বছরের শেষেই আসবে ভ্যাকসিন৷ ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, আগামী বছরের শুরুতে ভ্যাকসিন আসবে৷
কিন্তু সমস্ত আশাকে নিরাশায় জল ঢেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, এমন কোনও গ্যারান্টি নেই যে কোনও একটা ভ্যাকসিন কাজ করতে সফল হবে৷ পাশাপাশি তিনি এও বলেন, যত বেশি সংখ্যক ভ্যাকসিনের পরীক্ষা হবে, তত নিরাপদ ও কার্যকারী প্রতিষেধক পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে৷ তাঁর কথায়, অতীতেও এরকম একাধিক ভ্যাকসিনের মধ্যে কোনওটি সফল হয়েছিল কোনওটি আবার ব্যর্থ হয়েছিল৷
কয়েকদিন আগেও তিনি বলেছিলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে এত উত্তেজিত হওয়ার কারণ নেই৷ তিনি জানিয়েছিলেন, ভ্যাকসিন এলেও করোনা এখনই চলে যাবে না। করোনা ভাইরাস আর পাঁচটা ভাইরাসের মতোই আমাদের চারিপাশে রয়ে যাবে। ধীরে ধীরে মানুষ করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা অর্জন করবে। বার বার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এইধরনের নেতিবাচক মন্তব্য পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ মানুষকে করোনা ভয় চেপে ধরছে৷