risk
কলকাতা: সামনেই পুজো। এই সময় ফি বছর সিকিমে ঢল নামে পর্টকদের। কিন্তু, মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে লোনাক হ্রদ ফেটে বিপর্যয়ের অন্ধকার ডুবেছে সিকিম৷ সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তারা। কিন্তু এই অবস্থায় কি সেখানে যাওয়া সম্ভব? দোলাচলে পড়েছেন পর্যটকরা। রোজই কম-বেশি সিকিম টুরের বুকিং ক্যানসেল হয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম তাদের পুজোর প্যাকেজ টুর থেকে ছেঁটেই ফেলল সিকিমকে। নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপঙ্কর পিপলাই-এর কথায়, যাঁরা সিকিমে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বুকিং করেছিলেন, বন্যা পরিস্থিতিতে তাঁরা সেখানে যেতে নারাজ। ফলে বাধ্য হয়ে পুজোর প্যকেজ টুর থেকে সিকিম বাদ দেওয়া হচ্ছে।
সিকিমের অর্থনীতি মূলত পর্যটন নির্ভর। আর পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি ভিড় জমায় পুজোর এই মরশুমে। পুজোর ঠিক আগে এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সিকিমের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও সিকিম সরকার আশাবাদী, দক্ষিণ ও পশ্চিম সিকিমে পর্যটকরা আসবেন৷ তবে এ বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে উত্তরের পর্যটন ব্যবসায়ীদের। কারণ ধস সারিয়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক চালু না হলে ঘুরপথে খুব বেশি পর্যটককে সিকিমে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেই জানিয়ে দিয়েছেন টুর অপারেটররা। এমতাবস্থায় বড়সড় ধাক্কা লাগবে পর্যটন শিল্পে৷ মহালয়া থেকে লক্ষ্মীপুজোর ছুটিতে পুজোর পর্যটনে সিকিম ও দার্জিলিং মিলিয়ে প্যাকেজ টুরে অন্তত ২৫০ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷