বিদেশের মাটিতে রয়েছে বহু বিখ্যাত মন্দির, জানেন সেগুলি কোথায়? রইল সলুক সন্ধান

বিদেশের মাটিতে রয়েছে বহু বিখ্যাত মন্দির, জানেন সেগুলি কোথায়? রইল সলুক সন্ধান

 কলকাতা: আবু ধাবির প্রথম হিন্দু মন্দিরের কথা সারা বিশ্বই এখন জানে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে সূচনা হয়েছে মন্দিরের। মধ্যপ্রাচ্যের সবথেকে বড় হিন্দু মন্দির হল এই বিএপিএস মন্দির। অযোধ্যার রাম মন্দিরের পর এই মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরেও উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে সর্বত্র। দেশের বাইরে এই সুবিশাল মন্দির অনেককেই চমকে দিয়েছে। তবে দেশের বাইরে শুধু বিএপিএস হিন্দু মন্দিরই নয়, বিশ্বব্যপী ছড়িয়ে রয়েছে আরও একাধিক মন্দির। সেই সব মন্দির সম্পর্কে চমকে দেওয়া তথ্যই  তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে৷ 

তালিকায় প্রথম নাম আঙ্করভাট বিষ্ণু মন্দির। কম্বোডিয়ার এই মন্দির গোটা বিশ্বে জনপ্রিয়। প্রায় ৪০০ একর জমিতে তৈরি এই মন্দিরের নাম বিশ্ব রেকর্ডের খাতাতেও আছে। একেই বিশ্বের সবথেকে বড় ধর্মীয় স্থানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর মন্দিরে ভিড় জমান দেশ বিদেশের পর্যটকরা। এমনকি মন্দিরের অসাধারণ কারুকাজ দেখতে ভারতীয়রাও সেখানে ছুটে যান।

ইন্দোনেশিয়াতেও রয়েছে আরেক হিন্দু মন্দির।  স্থানীয় ভাষায় প্রামবানান হিসেবে পরিচিত এই মন্দির। খ্রীষ্টীয় নবম শতাব্দীতে এই মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মন্দিরের আরাধ্য দেবতা মহাদেব। ইউনেস্কোর তরফে এই মন্দিরকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই মন্দির চত্বরে রয়েছে মোট ২৪০ টা মন্দির। তার মধ্যে মূল মন্দিরের আরাধ্য শিব। মন্দিরে নিত্য পূজা হয় ব্রহ্মা-বিষ্ণূ-মহেশ্বর, তিনজনেরই। প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে শুরু করে হাজারও সমস্যা কাটিয়ে এই মন্দির এখনও টিকে রয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সনাতনীদের মন্দিরের কথা উঠলেই আসবে স্বামী নারায়ণ অক্ষরধামের প্রসঙ্গ। সেই অক্ষরধাম মন্দিরও সমান জনপ্রিয়। প্রায় ১৯১ ফুটের এই মন্দির তৈরি হয়েছে ১৮৫ একর জমির উপর। মন্দিরটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল ১২ বছর। মন্দিরটি খুব বেশি পুরনো না হলেও এর স্থাপত্যকীর্তি এককথায় অনন্য।

তালিকায় থাকা পরের মন্দিরটি নেপালে। নেপালের পশুপতিনাথ মন্দিরের নাম সকলেই জানেন। এটিও ইউনেস্কোর তরফে হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়া এক শিব মন্দির। তবে স্থাপত্য নয়, এই মন্দির ধর্মীয় কারণেই অধিক জনপ্রিয়। প্রতিদিনই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা এসে ভিড় জমান পশুপতিনাথ মন্দিরে।

অস্ট্রেলিয়াতেও রয়েছে বিখ্যাত এক হিন্দু মন্দির। যেখানে একইসঙ্গে পূজিত হন বিষ্ণু এবং শিব। সে দেশের হিন্দুরা ছাড়াও এই মন্দিরে ভিড় জমান অনেকেই। 

থাইল্যান্ডে ১১ থেকে ১২ শতাব্দীর মধ্যে তৈরি হয় প্রসাত হিন ফিমাই। যা ভগবান শিবের মন্দির। স্থানীয় খেমার রাজবংশ দেবালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। স্থাপত্যকীর্তির দিক থেকে এর গুরুত্ব অপরিসীম। 

এমনই আরও অনেক হিন্দু মন্দির ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। তালিকায় রয়েছে কিছু শক্তিপীঠও। যার মাহাত্মের কথা শুনে বিভিন্ন দেশ থেকে ভক্তরা পুজো দিতে সেখানে ছুটে যান। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *