JIO-র বকেয়া নিয়ে মতের ফারাক মন্ত্রকের, আদালতের জবাবে জানাল কেন্দ্র

রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের স্পেকট্রাম ব্যবহার করলেও জিওকে তাদের ভবিষ্যতে কেন সরকারকে স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি বাবদ বকেয়া মেটাতে হবে না এ কথা জানতে চেয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। দেউলিয়া আইনের আওতায় থাকা সংস্থা আর কমের স্পেকট্রাম বিক্রি করা নিয়ে টেলিকম ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে বলে, সোমবার আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্র। শীর্ষ আদালত এই বিষয়ে কেন্দ্রকে স্পষ্ট অবস্থানে আসতে বলেছে।

 

নয়াদিল্লি: রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের স্পেকট্রাম ব্যবহার করলেও জিওকে তাদের ভবিষ্যতে কেন সরকারকে স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি বাবদ বকেয়া মেটাতে হবে না, এ কথা জানতে চেয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। দেউলিয়া আইনের আওতায় থাকা সংস্থা আর কমের স্পেকট্রাম বিক্রি করা নিয়ে টেলিকম ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে বলে, সোমবার আদালতে জানিয়েছে কেন্দ্র। শীর্ষ আদালত এই বিষয়ে কেন্দ্রকে স্পষ্ট অবস্থানে আসতে বলেছে।

স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স ফি বাবদ বকেয়া গত বছর মিটিয়ে দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট টেলিকম সংস্থাগুলিকে। আয়ের ভিত্তিতে টাটা, ভোডাফোন, এয়ারটেল, আইডিয়া বিভিন্ন টেলিকম সংস্থাগুলি দীর্ঘ মেয়াদী কিস্তিতে তা মেটাবার আবেদন করেছিল। তার পাশাপাশা দেউলিয়া হওয়া সংস্থা গুলির বকেয়া মেটানো নিয়ে মামলার শুনানি চলছে আদালতে।

এদিন জিওর পক্ষে আইনজীবী হরিশ সালভে আদালতে বিচারপতি অরুন মিশ্র, এস আব্দুল নাজির ও এম আর শাহ'র বেঞ্চকে জানিয়েছেন, জিও আর কমের স্পেকট্রাম কেনেনি। এমনকি আর কমের দেউলিয়া প্রক্রিয়াতেও যুক্ত নয় জিও সংস্থা। অন্যদিকে, কেন্দ্র ও ডটের পক্ষে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা দাবি করেছেন, কর্পোরেট মন্ত্রকের কথা অনুযায়ী দেউলিয়া প্রক্রিয়ায় প্রোডাক্টের সর্বাধিক দাম আদায়ের জন্য স্পেকট্রাম বিক্রি করা যায়। ডট সেখানে মনে করে এই মামলা দেউলিয়া আইনের অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ স্পেকট্রাম হস্তান্তরযোগ্য কোনও ভাবেই নয়। তাদের মতে, দেউলিয়া আইনের আওতায় একে বিক্রি করা যায় না। এর অন্যতম প্রধান কারণ এটি জনসাধারণের সম্পত্তি তথা সরকার এর ট্রাস্টি। নীতি অনুযায়ী, একটি চুক্তির ভিত্তিতে টেলিকম সংস্থাকে এটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় মাত্র। স্পেকট্রাম ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীর বকেয়া মেটানো বাধ্যতামূলক। আর কমের বকেয়ার সমস্ত তথ্য মঙ্গলবারের মধ্যে জমা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − 7 =