২০১৮ সালের আতঙ্ক কি ফিরে আসছে। বার বার এই প্রশ্ন উঠছে কারণ, ২০২৩ এ দাঁড়িয়েও ছবিটা খুব বেশি বদলাইনি। অন্তত এই হাড়হিম ছবি সেই প্রমাণই দিচ্ছে। ঠিক কী দেখা যাচ্ছে ফুটেজটিতে?
এক ব্যক্তির কোমরে পিস্তল। তাকে ঘিরে ধরেছে পুলিশ। তিনি নাকি পিস্তল নিয়ে বিডিও অফিস পাহারা দিচ্ছিলেন। এই ছবি মুর্শিদাবাদের ডোমকলের মনোনয়ন পর্বের দিন, তারিখ ১০ জুন। ছবি শিউরে ওঠার মতো। বিজেপির দাবি এই ব্যক্তি একজন তৃণমূল কর্মী। ভোটের আগে এই ছবি যে সরাসরি দাদাগিরির বার্তা দিচ্ছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পুলিশের ব্যক্তিকে ধরা পর্যন্তও সব ঠিক ছিল। এর পরই মোড় ঘুরে গেল। যখন ধৃত ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইল না পুলিশ। গোটা ঘটনায় সরাসরি পুলিশের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন উঠছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন এই ব্যক্তি পকেটে পিস্তল নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাচ্ছিলেন। অথচ তাঁকে হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানার প্রয়োজন মনে করল না এই ব্যক্তির আসল পরিচয় কি। সত্যিই কি এই ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের? গোটা বিষয়কে একহাত নিয়ে ময়দানে বিজেপি। প্রকাশ্যে আসা এই ফুটেজকে নিয়েই বিজেপি রাজ্য সভাপকি সুকান্ত মজুমদারের ট্যুইট, মনোনয়ন পর্বেই এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটলে, নির্বাচনের দিন কী ঘটতে চলেছে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী? মুর্শিদাবাদে পকেটে পিস্তল নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল নেতা। এরপরেও আপনি আর আপনার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনার বলবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে এই ট্যুইট সুকান্ত মজুমদারের। যেখানে তিনি সরাসরি পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করেছেন। শুধু তাই নয়, ১০ জুনের এই ঘটনার পর বঙ্গ বিদেপি সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। বঙ্গ বিজেপি কয়েকটি দাবি নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-
• আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন
• চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের দূরে রাখা উচিত নিরাপত্তার খাতিরে
পুলিশে হেফাজতে না নেওয়ায় ধৃত ব্যক্তির ২৩ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।