হেলসিঙ্কি: পারিবারিক ব্রেকফাস্টের বিল সরকারি কোষাগার থেকে মেটানোয় বিতর্কের মুখে প্রধানমন্ত্রী৷ না, না এদেশের নয়, ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মেরিন। ২৬,৪৭৯ টাকা মেটানো হয়েছে বলে খবর৷
ফিনল্যান্ডের একটি জনপ্রিয় ট্যাবলয়েডে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন কেসারান্তায় প্রতি মাসে এর জন্য ৩০০ ইউরো খরচ করা হয়৷ এই খবর প্রকাশিত হতেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এতে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এই বিষয়ে শোরগোল শুরু হতেই নড়েচড়ে বসেছে ফিনল্যান্ডের পুলিশ প্রশাসন। আম আদমির করের টাকায় বেআইনিভাবে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের ব্রেকফাস্টের বিল প্রধানমন্ত্রী মিটিয়েছেন কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে প্রশাসনিক তরফে জানানো হয়েছে।
গোয়েন্দা বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট তিমু জোকিন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক কার্যকলাপের সঙ্গে এই তদন্তের কোনও সম্পর্ক না থাকলেও, তাঁর ব্রেকফাস্টের বিল সরকারি কোষাগার থেকে মেটানো সংক্রান্ত বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। সরকারি টাকায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের ও পারিবারিক ব্রেকফাস্টের বিল মেটাবেন কেন, এই প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। যদিও ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বছর পঁয়ত্রিশের সানা মেরিন সাফ জানিয়েছেন, এর আগে যাঁরা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তাঁরাও একইভাবে এই সুবিধা পেয়ে এসেছেন। এই প্রসঙ্গে টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি৷ তাঁর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি ওই সুবিধা চাইনি। এছাড়া এ বিষযে আমি একা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না৷ পুলিশের তদন্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেছেন, তদন্ত চলাকালীন তিনি ওই সুবিধা নেবেন না। শুধু তাই নয়, এটি আইন বিরুদ্ধ হলে, তা আর কোনও দিন নেবেন না।
বিবিসির বিচারে বিশ্বের সেরা ১০০ মহিলার তালিকায় যেমন জায়গা করে নিয়েছেন, তেমনই ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিচারে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ মহিলাদের মধ্যে অন্যতম ৩৫ বছরের সুন্দরী সারা মেরিন। স্বচ্ছ ইমেজ, মানবিক মুখ এবং কাজের মানুষ হিসেবেই বিশ্বের দরবারে পরিচিত সানা মেরিন। কিন্তু সেই স্বচ্ছ ইমেজই এবার দাগ লাগল।