ক্যানিং: আসছে নির্বাচন৷ তুঙ্গে প্রস্তুতি৷ কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী শিবির৷ প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন৷ সদ্য শেষ হয়েছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ৷ কিন্তু, ভোটের প্রস্তুতি শুরু হতেই বাদ পড়তে চলেছে বহু ভোটারের নাম৷
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার পরিসংখ্যান বলছে, এই জেলায় ৩১টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে৷ কিন্তু, ভোটের তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হতেই নতুন করে দানা বেধে নতুন বিতর্ক৷ খবরে প্রকাশ, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় বাদ পড়তে চলেছে ৬২ হাজারেরও বেশি ভোটারের নাম!
ভোটার তালিকা সংশোধন পর্বে মৃত ও অন্যত্র চলে যাওয়া ভোটারের তালিকা প্রস্তুত করতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন৷ সেখানেই এই সংখ্যা ফুটে উঠেছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলার প্রথম শ্রেণির একটি সংবাদপত্র৷ মৃত ও অন্যত্র চলে যাওয়া ভোটারের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ আগেই দিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ সেই মতোই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কাজ৷ খবরে প্রকাশ, জেলায় এখন ভোটার সংখ্যা ৮ লক্ষের কিছু বেশি৷
কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, যে ভোটারদের মৃত্যু হয়েছে কিংবা অন্যত্র চলে গিয়েছেন, তাঁদের ৭ নম্বর ফর্ম জমা দিতে হয়৷ মৃতদের পরিবারকে দিতে হয় মৃত্যুর শংসাপত্র৷ সেই প্রক্রিয়া চলছে৷ বুথস্তরের কর্মীরা বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন৷ আগামী নির্বাচনে কত ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে, তার তালিকাও ইতিমধ্যে তৈরি হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই ‘ভূতুরে’ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে দাবি তুলেছে বিরোধীরা৷ সেই অনুযায়ী চলছে প্রস্তুতি৷ প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, এর আগে এই কাজ এত নিখুঁতভাবে কখন করা হয়নি, এবার গুরুত্ব দিয়ে সেই কাজ চলছে৷
জানা গিয়েছে, ৩টি ধাপে এই তথ্য সংগ্রহের করা হয়েছে৷ রেজিস্টার অনুযায়ী মৃত ভোটারের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ৭২৮টি৷ অন্যত্র চলে যাওয়া ভোটারের সংখ্যাও বেশ কিছুটা বেশি৷ অন্যত্র চলে যাওয়া ভোটারের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৬৯টি৷ সব মিলিয়ে ৬২ হাজারেরও বেশি নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ নিয়ে নতুন তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, ডায়মন্ডহারবার বিধানসভা কেন্দ্র বাদ পড়তে চলেছে ৩ হাজার ৫২৯ জন ভোটের নাম৷ রায়দিঘি কেন্দ্রে বাদ পড়তে চলেছে ২ হাজার ৮৩৭ ভোটের নাম৷ পাথরপ্রতিমায় ২ হাজার ৬০৮ জন, বিষ্ণুপুরে ২ হাজার ৩০৯ ও মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে ২ হাজার ৩৪০ জনের নাম বাদ পড়তে চলেছে৷ তবে, পর্যাপ্ত নথির ভিত্তিতে এই নাম বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ জমা পড়া নথি খতিয়ে দেখার কাজ চলছে৷