জোট প্রশ্নে অনেক আন্তরিক বামেরা, দেখেও কী শিখতে পারছে না কংগ্রেস?

জোট প্রশ্নে অনেক আন্তরিক বামেরা, দেখেও কী শিখতে পারছে না কংগ্রেস?

d86914c95f14a90fad26800baf69d553

নিজস্ব প্রতিনিধি:  শুধু এবার বলে নয়, ২০১৬ ও গত বিধানসভা নির্বাচনেও সিপিএম তথা বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছিল বেশ কিছু আসনে ঐকমত্য হয়নি দু’পক্ষের মধ্যে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। সেক্ষেত্রে আগের মতোই বাস্তব পরিস্থিতি বলছে মূলত সমস্যাটা তৈরি হচ্ছে কংগ্রেসের দিক থেকেই। যে কয়েকটি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দিতে চাইছে বা দিয়েছে সেখানকার অতীতের পরিসংখ্যান বলছে তাদের ভোট শতাংশ পাতে দেওয়ার মতো নয়। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস যেভাবে একাধিক আসনে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে যেভাবে আলিমুদ্দিনকে চাপ দিচ্ছে, তা দেখে একটা কথাই বলতে হয়, নিজের দম বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত শতাব্দীপ্রাচীন দলটির। মূলত সেই কারণেই ঘাটাল, কোচবিহারে কংগ্রেসের প্রার্থী দাঁড় করানো নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারণ তুলনামূলকভাবে এই দুটি কেন্দ্রেই বামেদের ভোট শতাংশের হার কংগ্রেসের থেকে বেশি। তাই সবদিক বিবেচনা করে এটা বলতেই হচ্ছে যে, জোট প্রশ্নে অনেক বেশি আন্তরিক সিপিএম।

 

গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না হলেও বহরমপুর লোকসভায় অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে আরএসপি প্রার্থীকে সমর্থন করেনি সিপিএম। সিপিএম প্রকাশ্যে অধীরের পাশে দাঁড়িয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল একটাই, তৃণমূলকে হারানো। একই ভাবে দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রেও গতবারের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে সিপিএম প্রার্থী দেয়নি। দুটি কেন্দ্রেই জয়লাভ করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা না নিয়ে কংগ্রেস প্রথম থেকেই এবার আলিমুদ্দিনকে চাপ দিয়েছে বেশি আসন পাওয়ার ব্যাপারে। কিন্তু বাম নেতৃত্ব প্রথম থেকেই সংযত ভাবে কথা বলে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করে গিয়েছেন।

 

শুধু কংগ্রেস নয়, আইএসএফের জন্যেও দীর্ঘ অপেক্ষা করেছে বামেরা। শেষমেশ যখন আইএসএফ একতরফাভাবে বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তখন বাধ্য হয়ে সিপিএম ডায়মন্ডহারবার-সহ আরও কয়েকটি কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। অর্থাৎ আইএসএফ-এর সঙ্গে আসন সমঝোতার প্রশ্নেও যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে বামেরা। এমনকী তাদের সঙ্গে জোট ভেস্তে গেলেও আইএসএফকে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করে তীব্র আক্রমণ করতে কিন্তু দেখা যায়নি বাম নেতৃত্বকে। তাই একটাই প্রশ্ন, বামেদের এই ভূমিকা দেখে আদৌ কোনও শিক্ষা নেবে কংগ্রেস? নাকি যেমনটা চলছিল সেভাবেই সবকিছু চলবে? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে। আর তার উত্তর কিন্তু খুঁজতে হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *