মন্দার বাজারে GPF-এ ‘কোপ’! ৯ মাস অপরিবর্তিত সুদের হার

মন্দার বাজারে GPF-এ ‘কোপ’! ৯ মাস অপরিবর্তিত সুদের হার

3 stocks recomended

কলকাতা: করোনা আবহে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার ঘোষণা করল রাজ্য সরকার৷ গত ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রভিডেন্ট ফান্ডে যে সুদের হার ছিল, তা আরও দু’মাস একই থাকছে৷ সুদের হার অপরিবর্তিত রেখে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুদের হার ঘোষণা করা হয়েছে৷

রাজ্য অর্থ দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি (3141-F(J-N.B.) জারি করে জানানো হয়েছে,  ০১-১০-২০২০ থেকে আগামী ৩১-১২-২০২০ পর্যন্ত ৭.১ শতাংশ হারে প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা৷ এই একই হারে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুদ পেয়েছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা৷ টানা ৯ মাস অপরিবর্তিত থেকে গেল সুদের হার৷ দেখুন বিজ্ঞপ্তি-http://www.wbfin.nic.in/writereaddata/3141-F(J).pdf

কোন ফান্ডে এই সুদ দেওয়া হবে-
* জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভিস)৷
* কনট্রিবিউটারি প্রভিডেন্ট ফান্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল)৷
* ওয়েস্ট বেঙ্গল নন-গভর্নমেন্ট এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড লোকার অথরিটিস (সিপিএফই) আইন, ১৯৮৩ –র অধীনে থাকা প্রভিডেন্ট ফান্ড৷
* সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত স্টেট অ্যাকাউন্টের অধীনে থাকা যে কোনও প্রভিডেন্ট ফান্ড৷

এর আগে পর পর দু’বার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার কমিয়েছে রাজ্য অর্থ দফতর৷ গত ১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২০ পর্যন্ত জিপিএফে সুদের হার ছিল ৭.৯ শতাংশ৷ ১ এপ্রিল ২০২০ থেকে ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের অধীনে সমস্ত প্রভিডেন্ট অ্যাকাউন্ট খাতে বছরে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ ধার্য করা হয়৷ আগামী দু’মাসও একই সুদের হার বজায় রাখা হল৷

গত ২২ জানুরায়ি বিজ্ঞপ্তি (No.464-F(J)-W.B) http://www.wbfin.nic.in/writereaddata/464-F(J).pdf জারি করে শেষ ত্রৈমাসিকে সুদের হার ঘোষণা করা হয়৷ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে জিপিএফে সুদের হার পরিবর্তন হয়৷ সেক্ষেত্রে গত বছর জিপিএফে সুদের হার ছিল ৮ শতাংশের কাছাকাছি৷ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের হারে জিপিএফের সুদ পান রাজ্য কর্মীরা৷ রাজ্য সরকারি কর্মীদের মূল বেতনের ৬ শতাংশ বাধ্যতামূলকভাবে জিপিএফে রাখতে হয়৷ বেতন থেকে টাকা কেটে এই তহবিলে জমা করা হয়৷ তবে সরকারি কর্মীরা চাইলে মূল বেতনের পুরোটাও জিপিএফ তহবিলে রাখতে পারেন৷ অন্য সঞ্চয় প্রকল্পের তুলনায় সুদের হার বেশি হওয়ার কারণে অধিকাংশ সরকারি কর্মী বাধ্যতামূলক ৬ শতাংশের বেশি জিপিএফ তহবিলে জমা দেন৷

জিপিএফের সুবিধা শুধু সরকারি কর্মীরা পেয়ে থাকেন৷ বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মীদের বেতন থেকে নির্দিষ্ট অংশ কেটে ইপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয় এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জিপিএফে৷ কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে ২০ জনের বেশি কর্মী থাকলে ইপিএফওর আওতায় পড়ে৷ মাসে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা বেতন পেলে ইপিএফের মতো সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবা পান ওই কর্মী৷ ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশনের পরিমাণ এক হাজার টাকা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six − two =

ফের GPF-এ সুদ কমাল রাজ্য, অর্থ বিজ্ঞপ্তিতে বড় ধাক্কা কর্মচারী মহলে

ফের GPF-এ সুদ কমাল রাজ্য, অর্থ বিজ্ঞপ্তিতে বড় ধাক্কা কর্মচারী মহলে

 

কলকাতা: চলতি বছরে পরপর দু’বার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্টের সুদের হার কমাল রাজ্য অর্থ দপ্তর৷ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের অনুমতি সাপেক্ষে আজ বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য অর্থ দপ্তর৷ গত ২২ জানুয়ারির পর আজ বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৮ বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রভিডেন্টের সুদের হার৷

রাজ্য অর্থ দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ১ এপ্রিল ২০২০ থেকে ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের অধীনে সমস্ত প্রভিডেন্ট অ্যাকাউন্ট খাতে বছরে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে৷ গত ১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২০ পর্যন্ত জিপিএফে সুদের হার ছিল ৭.৯ শতাংশ৷ গত ২২ জানুরায়ি বিজ্ঞপ্তি (No.464-F(J)-W.B) জারি করে শেষ ত্রৈমাসিকে সুদের হার ঘোষণা করা হয়৷ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে জিপিএফে সুদের হার পরিবর্তন হয়৷ সেক্ষেত্রে গত বছর জিপিএফে সুদের হার ছিল ৮ শতাংশের কাছাকাছি৷ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের হারে জিপিএফের সুদ পান রাজ্য কর্মীরা৷

চলতি ত্রৈমাসিকে জিপিএফে নয়া সুদের হার

রাজ্যের 1630-F(J)-N.B বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১. জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (ওয়েস্টবেঙ্গল সার্ভিস)৷ ২. কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড (ওয়েস্টবেঙ্গল)৷ ৩. পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পোষিত বেসরকারি স্কুল এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (সিপিএফই) ধারা, ১৯৮৩৷ ৪. রাজ্য সরকার অধীনস্থ কেন্দ্র সরকার পোষিত অন্যান্য প্রভিডেন্ট ফান্ডে এই হারে চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে সুদ দেওয়া হবে৷

গত ত্রৈমাসিকে জিপিএফের সুদের হার

রাজ্য সরকারি কর্মীদের মূল বেতনের ৬ শতাংশ বাধ্যতামূলকভাবে জিপিএফে রাখতে হয়৷ বেতন থেকে টাকা কেটে এই তহবিলে জমা করা হয়৷ তবে সরকারি কর্মীরা চাইলে মূল বেতনের পুরোটাও জিপিএফ তহবিলে রাখতে পারেন৷ অন্য সঞ্চয় প্রকল্পের তুলনায় সুদের হার বেশি হওয়ার কারণে অধিকাংশ সরকারি কর্মী বাধ্যতামূলক ৬ শতাংশের বেশি জিপিএফ তহবিলে জমা দেন৷

জিপিএফের সুবিধা শুধু সরকারি কর্মীরা পেয়ে থাকেন৷ বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মীদের বেতন থেকে নির্দিষ্ট অংশ কেটে ইপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয় এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জিপিএফে৷ কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে ২০ জনের বেশি কর্মী থাকলে ইপিএফওর আওতায় পড়ে৷ মাসে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা বেতন পেলে ইপিএফের মতো সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবা পান ওই কর্মী৷ ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশনের পরিমাণ এক হাজার টাকা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 11 =