গরু পাচারকাণ্ডে নয়া মোড়, এনামুলকে CBI হেফাজতে পাঠাল হাইকোর্ট

গরু পাচারকাণ্ডে নয়া মোড়, এনামুলকে CBI হেফাজতে পাঠাল হাইকোর্ট

কলকাতা: গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট৷ গরু পাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হককে ৬ দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট৷ সিবিআইয়ের আবেদন মেনে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই নির্দেশ দেন৷ ফলে ধৃতকে আবার জেরা করার জন্য আসানসোল থেকে কলকাতায় আনবে সিবিআই৷ আসানসোল আদালতের যে সরকারি কৌঁসুলি সিবিআইয়ের তরফে এই মামলায় ছিলেন, তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট৷

গরু পাচার চক্রের মূল হোতা এনামুল হককে হেফাজতে না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই৷ গত ১১ ডিসেম্বর আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এনামুলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়৷ এনামুলের পাশাপাশি বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারকেও ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত৷ এনামুলকে হেফাজতে নিয়ে জেরার প্রয়োজন বলে সওয়াল করে সিবিআই৷ আজ সিবিআইয়ের সেই আর্জি অনুমোদন দিয়েছে হাইকোর্ট৷ 

চলতি মাসের শুরুতে আত্মসমর্পণ করে গরু পাচার চক্রের মূল চক্রী এনামুল হক। আদালত সূত্রে খবর, তাকে নিজেদের হেফাজতে আবেদন করেছিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। এনামুলকে হেফাজেতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে চেয়েছিল সিবিআই। কিন্তু এনামুলের আইনজীবীরা অভিযুক্তের জামিনের জন্য আবেদন করেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল গত নভেম্বর মাসে এনামুলকে দিল্লি থেকে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। তখনই অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছিল এনামুল। এখন জামিনের মেয়াদ বাড়ানো না হলে তাকে সিবিআই হেফাজতের নিতে পারে না। এর উত্তরে সিবিআইয়ের তরফে এই তথ্য জানানো হয় আদালত যদি এনামুল হক এবং সতীশ কুমার দু’জনকেই জামিন দেয় তবে তারা প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করতে পারে। এমনকী প্রভাব খাটিয়ে তদন্তের কাজে বাধা দিতে পারে বলেও জানান সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। এরপরই আদালত এনামুল এবং সতীশ দুজনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

গত মাসের ৬ তারিখ দিল্লি থেকে এনামুল হককে গ্রেফতার করে। ৭ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এনামুলের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু জানান ৭ নভেম্বর দিল্লির আদালত এনামুলকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয় ও সিবিআই তদন্তকারী অফিসারদের সাথে দেখা করতে বলে। এনামুল আদালতের নির্দেশ পালন করে। কিন্তু সেই সময় তার করোনা হয়। সিবিআই নিজেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল থেকে এনামুলের পরীক্ষা করায়। এরপরই শেখর কুণ্ডু দাবি করেন যখন এনামুল একবার জামিন পেয়েছে তাহলে হয় তার মেয়াদ বাড়াতে হয় না হলে তা খারিজ করতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যেহেতু মেয়াদ বাড়ানো হয়নি তাই এনামুল ‘ডিমড কাস্টডি’তে ছিল বলে ধরে নিতে হবে। তাই ১৪ দিনের বেশি তাকে সিবিআই হেফাজতে রাখা যাবে না বলে সাফাই দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 5 =