স্কুলের শিক্ষকদের জন্য সুখবর শোনাল হাইকোর্ট! পদোন্নতির রায়!

স্কুলের শিক্ষকদের জন্য সুখবর শোনাল হাইকোর্ট! পদোন্নতির রায়!

 

কলকাতা: সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকদের জন্য সুখবর শোনাল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মতোই এবার সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও ৮, ১৬ ও ২৫ বছর অন্তর গ্রেড পে বৃদ্ধির নির্দেশ দিল আদালত। এই রায়ে আশাবাদী সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পিজি ও অনার্স শিক্ষকরা।

সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পদন্নতির সুযোগ থাকলেও সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা তাদের চাকরির ৮, ১৬ ও ২৫ বছর সম্পন্ন হলে একটি করে অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট-সহ পরবর্তী উচ্চতর স্কেলে উন্নীত হন। এই সুবিধাকে কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট স্কিম বা সংক্ষেপে ক্যাস বলে। সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্যাসের সুবিধা রয়েছে। তার ফলে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের গ্রেড পে ৮ বছর পর বেড়ে হয় ৫৪০০ টাকা, ১৬ বছর পর বেড়ে হয় ৬৬০০ টাকা এবং ২৫ বছর পর বেড়ে হয় ৭৬০০ টাকা‌। যেখানে সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে পিজি শিক্ষকদের গ্রেড পে-এর কোনও পরিবর্তন হয় না। তাদের গ্রেড পে ৪৮০০ টাকাতেই থেমে যায়। তবে পাশ গ্রেজুয়েট শিক্ষকদের ১৮ বছর চাকরির অতিক্রম করলে গ্রেড পে ৪১০০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৪০০ টাকা হয়। পিজি শিক্ষকদের এটুকুও বাড়ে না।

সরকারি স্কুলের ও সরকারের ঘোষিত স্কুলের দুজন পিজি শিক্ষকের মাসিক বেতনের মধ্যে ১৫০০০ টাকার তফাৎ থাকতে পারে। এই বৈষম্যতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিল ‘অল পোস্ট গ্রাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’। সোমবার এই মামলার রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর বি শরাফ। সরকারি পোষিত স্কুলগুলির শিক্ষকদের চাকরির ৮, ১৬ ও ২৫ বছর অতিক্রম করলে তাদের প্রাপ্য ক্যাস দেওয়ার পক্ষে নির্দেশ দিল আদালত। শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবকে মামলাকারীদের বিষয়টি বিবেচনা করে ১২ সপ্তাহের মধ্যে যুক্তিপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘অল পোস্ট গ্রাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি রথীন সাঁই জানিয়েছেন, “কোর্টের রায় বিবেচনা করে স্কুল-মাদ্রাসা শিক্ষকদের জন্য ক্যাস প্রদানের বিষয়ে দ্রুত নির্দেশিকা জারি করুক সরকার। এই রায়ের পর রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষকদের এতদিনের বঞ্চনার অবসান ঘটবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *