নয়াদিল্লি: করোনা আতঙ্কের রেশ কিছুটা কাটতেই দেশের নুইয়ে পড়া অর্থনীতিকে ফের সচল করতে উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্র। অতিমারী কালে যে আর্থিক বিপর্যয় তথা বেকার সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন দেশের সাধারণ মানুষ, তা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ মোদী সরকারের কাছে। এই আবহে নতুন বছরের শুরুতে একদিকে যেমন একাধিক নতুন চাকরিতে নিয়োগের ঘোষণা করছে কেন্দ্র, তেমনি অধীনস্থ কর্মচারীদের প্রতিও দেওয়া হচ্ছে বিবিধ নির্দেশ।
কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ স্থায়ী কর্মচারীদের প্রাপ্ত ছুটি সংক্রান্ত বিষয়ে এবার বড় ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। সূত্রের খবর, এবার থেকে কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের বছরে বছরে ন্যূনতম ২০ দিন বেতনসহ ছুটি (earned leave) নিতে হবে, এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। অর্থাৎ অন্তত ২০ দিন ছুটি নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।
এ বিষয়ে কেন্দ্র সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘নগদের বিনিময়ে ছুটি বিক্রির বদলে স্থায়ী কর্মীদের ন্যূনতম ২০দিন বেতনসহ ছুটি নেওয়া আবশ্যক।’’ সরকারের এই ঘোষণার ফলে দেশের সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বস্তুত, গত বছরের অক্টোবর মাসে অতিমারী আবহে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার উদ্দেশ্যে বড় প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মূলত ভোগ্যবস্তুর চাহিদা এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য সরকারি কর্মীদের বেতনের একাংশ অগ্রিম ও এলটিসি (LTC) বাবদ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে ৭৩০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল।
অর্থমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় নয়, এমন পণ্য কেনায় ওই টাকা কর্মীদের খরচ করতে হবে। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে টাকা খরচ করার শর্তেই দেওয়া হয়েছিল এই সুযোগ। নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন, ‘‘বার্ষিক ভ্রমণ ভাতা হিসেবে কর্মচারীদের আয়করবিহীন ক্যাশ ভাউচার দেওয়া হবে। এই অর্থ এমন সব পণ্য কিনতে খরচ করতে হবে, যার উপরে ১২% বা তার বেশি হারে জিএসটি যুক্ত হয়।’’ কেন্দ্রের এই ঘোষণা অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিয়েছিল কেন্দ্রের অধীনে থাকা সংস্থাগুলি।
শুধু তাই নয়, এরপর কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের জন্য এককালীন উৎসব ভাতার ব্যবস্থাও করেছিলেন নির্মলা সীতারামন। তাতে প্রত্যেক কর্মীকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা হয়েছিল। এছাড়া যাঁদের এলটিসি প্রাপ্য তাঁদের ভাতার উপর ধার্য কর ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। এবার সরকারি কর্মীদের ছুটি নেওয়াও আবশ্যক করা হল।