২০০, ৫০০ টাকার নোটে সাবধান! লাফিয়ে বাড়েছে জাল নোটের কারবার, তথ্য দিচ্ছে RBI

জাল নোটের কারবার বন্ধ করতে মোদী সরকার নোটবন্দির মত ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু তাতে যে লাভের লাভ হয়নি কিছুই সেকথাই আবার প্রমাণিত হল পুলিশ ও একাধিক এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির তথ্যে। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, গত একবছরে জাল নোটের কারবার বেড়েছে ঝড়ের গতিতে। আর সেই জাল নোটের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে ২০০ ও ৫০০ টাকার নোট। গত ৩ বছরে প্রতি বারই এই জাল নোটের ব্যবসা লাফিয়ে বেড়েছে।

 

নয়াদিল্লি: জাল নোটের কারবার বন্ধ করতে মোদী সরকার নোটবন্দির মতো ব্যবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু তাতে যে লাভের লাভ হয়নি, সেকথা আবার কার্যত প্রমাণিত হল পুলিশ ও একাধিক এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির তথ্যে৷ সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, গত একবছরে জাল নোটের কারবার বেড়েছে ঝড়ের গতিতে। আর সেই জাল নোটের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে ২০০ ও ৫০০ টাকার নোট। গত ৩ বছরে প্রতি বারই এই জাল নোটের ব্যবসা লাফিয়ে বেড়েছে।

২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে পুরনো ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল বলে ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদী সরকার। দেশের সুরক্ষার খাতিরে জাল নোটের ব্যবসা বন্ধ করার যুক্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সরকার তরফে। এর ফলে বেশ কিছু দিন দেশের অর্থনীতির অবস্থা সঙ্গীন হয়ে পড়ে। নোটবন্দির ফলে দেশের জনসাধারণকেও একাধিক সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল। চার বছর পেরিয়ে গেলেও সেই স্মৃতি আজও তাজা। নোটবন্দি করার পিছনে সরকারের যুক্তি ছিল বিপুল অঙ্কের জাল নোট সামনে আসবে, কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হয়েছিল কেন্দ্র। সম্প্রতি জাল নোট নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পেশ করা তথ্যে চাপে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদী সরকার।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তরফে বলা হয়েছে, গত ২০১৯ থেকে ২০ আর্থিক বর্ষে ভারতে মোট জাল নোট ধরা পড়েছিল ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬৯৫টি। যার মধ্যে ১০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যাই ছিল ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭৩৯ টি। এরপর ৫০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৪৫৪ টি ছিল। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গত তিন বছরের তুলনামূলক তথ্যে দেখা যাচ্ছে, জাল নোট বৃদ্ধির হারে সবার আগে এগিয়ে আছে ২০০ টাকার নোট। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০০ টাকার জাল নোট বৃদ্ধির হার ১৫১.২ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে মোট ৩১ হাজার ৯৬৯ টি ২০০ টাকার জাল নোট ধরা পড়েছে।

তবে বৃদ্ধির হারে পিছিয়ে নেই ৫০০ টাকার জাল নোটও। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে এই জাল নোট ধরা পড়েছিল ৩০ হাজার ৫৪ টি। পাশাপাশি গত অর্থবর্ষে ২০০০ টাকার জাল নোটের কারবার কমেছে অনেকটাই। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে যেখানে দেশে নকল ২০০০ টাকার নোট ধরা পড়েছিল ২১ হাজার ৮৪৭টি, সেখানে ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২০টি'তে। ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০০০ টাকার নোট ছাপানো পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে ২০০০ টাকার নোট জাল বর্তমানে কিছুটা কমেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − twelve =