গলদঘর্ম কাকে বলে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বঙ্গবাসী। প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে মানুষ-সহ সমগ্র জীব জগত। একটু বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ করে বসে রয়েছেন তারা। এবার একটু বৃষ্টি আসার আশ্বাস নিয়ে হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাট এলাকায় হল শান্তি যজ্ঞ। বৃহস্পতিবার রাতে যজ্ঞ শুরু হয়। সমস্ত রকম নিষ্ঠাচার মেনে সেই যজ্ঞে বৃষ্টির কামনায় দেওয়া হয়েছে আহুতি। হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটের কাছে শ্রীপঞ্চমুখী হনুমান মন্দিরে এই যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। প্রাক্তন পুরপিতা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শৈলেশ রাইয়ের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাতে ওই যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। এদিন বরুণদেব এবং ইন্দ্রদেবের পূজা প্রার্থনা হয় যাতে বৃষ্টি নামে।
এদিকে বৃহস্পতিবারই কেরলে প্রবেশ করে গিয়েছে বর্ষা। তবে এরাজ্য এখনই বর্ষার কোন সম্ভাবনার কথা শোনায়নি হাওয়া অফিস। উল্টে পশ্চিমের সাত জেলায় এবং উত্তরের তিন জেলায় রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পশ্চিমের যে জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে, সেগুলি হল- পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূম, দুই দিনাজপুর এবং মালদহে।
অর্থাত্, তীব্র গরম এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে এখনই মুক্তি পাবেন না দক্ষিণবঙ্গবাসী। উত্তরবঙ্গের উপরের দিকে জেলাগুলিতে বৃষ্টি হলেও আবহাওয়ার তেমন কিছু হের-ফের ঘটবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। যতক্ষণ না পুরোপুরি ভাবে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করছে ততক্ষণ জারি থাকবে এই অস্বস্তিকর আবহাওয়া।